নিজস্ব চিত্র।
শ্রমিকদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি তিনি। তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থেই কারখানা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন পান্ডুয়ার বৈঁচিগ্রামের ‘তারা হার্বাল ফার্মাসিউটিক্যাল’ আয়ুর্বেদিক ওষুধ কারখানার মালিক সুভাষ মণ্ডল। রুজিরুটিতে টান পড়ায় সমস্যায় পড়লেন ওই কারখানার শ্রমিকেরাই।
কারখানার শ্রমিকদের জন্য টিকা চেয়ে গত ১১ জুন স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন সুভাষ। কিন্তু আজও তাঁর কর্মীরা টিকা পাননি। তিনি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রথম টিকার ব্যবস্থা করেছিলেন বটে, কিন্তু পরের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই তা-ও হয়ে ওঠেনি। সুভাষের কারখানায় মোট ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রত্যেকেই অস্থায়ী। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন ৪৫-ঊর্ধ্ব হওয়ায় তাঁরা আগেই টিকা পেয়েছিলেন। কিন্তু বাকিরা এখনও পাননি। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে কাজ করিয়ে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াতে চান না তিনি।
মালিকের কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে শ্রমিকদের। ওই কারখানার কর্মী উত্তম মণ্ডল জানান, ‘‘কাজ বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হবে আমাদের। টিকা না পাওয়ায় চালক, খালাসিদের বাইরে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। হোটেলে থাকার জায়গা মেলে না। রাস্তায় রাত কাটাতে হয়।’’ শেফালি মণ্ডল নামে আর এক কর্মী বলেন, ‘‘টিকা না পেলে পেট চলবে না আমাদের।’’
বিষয়টি জানতে পেরে চুঁচুড়ার সদর মহকুমা শাসক সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সুপার স্প্রেডার যাঁরা, তাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দোকান, বাজার, কলকারখানার শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বৈঁচির বিষয়টি আরও খোঁজ নিয়ে দেখব।’’