গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্র। ছবি: সুব্রত জানা
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মাসচারেকের মধ্যে বাঘের দর্শন মিলতে পারে গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রে। সেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
বন দফতর এবং হাওড়া জেলা পরিষদ যৌথ ভাবে গড়চুমুকে ‘মিনি’ চিড়িয়াখানা চালায়। সেখানে প্রায় ১০০টি হরিণ, একটি কুমির, শজারু এবং অসংখ্য পাখি আছে। ‘মিনি’ চিড়িয়াখানাকে এখন উন্নীত করা হচ্ছে ‘স্মল’ চিড়িয়াখানায়। মাসচারেকের মধ্যে সেই কাজ শেষ হলে এখানে অন্য চিড়িয়াখানা থেকে বাঘ আনা হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রের খবর। এ ছাড়াও, জেব্রা, আরও কুমির এবং নানা প্রজাতির পাখি ও বনবিড়ালও নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মিনি চিড়িয়াখানা ‘স্মল’ স্তরে উন্নীত হলে পর্যটকরা বাড়তি আনন্দ পাবেন। হাওড়া জেলার অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্র হয়ে দাঁড়াবে গড়চুমুক। অনেক আগেই এর কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আবহের জন্য কাজ শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।’’
জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ অন্তরা সাহা বলেন, ‘‘স্মল চিড়িয়াখানায় প্রথমে আমরা চিতাবাঘ আনার কথা ভেবেছিলাম। পরে সকলের সঙ্গে আলোচনায় বাঘ আনার প্রস্তাব দেওয়া হয় ‘জ়ু অথরিটি অব ইন্ডিয়া’-কে। তারা অনুমোদন করে। বাঘের আকর্ষণ আরও অনেক বেশি।’’
‘জ়ু অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র অনুমোদন মেলায় গড়চুমুকে ‘স্মল’ চিড়িয়াখানা তৈরির কাজ শুরু হয়। এখন বাঘ-সহ অন্য জীবজন্তুর ঘর এবং খাঁচা বানানো হচ্ছে। ‘স্মল’ চিড়িয়াখানার জন্য বাড়তি জমির প্রয়োজন। সেই জমি জেলা পরিষদ দেবে বলে জানান অজয়বাবু। এটি গড়তে যে টাকা খরচ হচ্ছে তারও একটি অংশ বহন করছে জ়ু অথরিটি অব ইন্ডিয়া। বাকি টাকা খরচ করছে জেলা পরিষদ এবং রাজ্য বন দফতর।
পর্যটনকেন্দ্রের জমিটি জেলা পরিষদেরই। হুগলি নদী ও দামোদরের সঙ্গমস্থল গড়চুমুকে শীতকালে বহু মানুষ চড়ুইভাতি করতে আসেন। পর্যটনকেন্দ্রেরই এক দিকে আছে ‘মিনি’ চিড়িয়াখানা, যার তত্বাবধান করে বন দফতর। এখানে ছোটখাটো পশু চিকিৎসালয়ও আছে। জেলা পরিষদ জানিয়েছে, ‘স্মল’ চিড়িয়াখানায় পরিণত হলে পশু চিকিৎসালয়টিকে হাসপাতালের মর্যাদা দেওয়া হবে। থাকবে রেসকিউ সেন্টার।
নতুন সাজের অপেক্ষায় গড়চুমুক।