আহত নিতু রানা। —নিজস্ব চিত্র।
শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। হুগলির উত্তরপাড়া থানার ঘটনা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরপাড়া জেকে স্ট্রিটের একটি আবাসনে ওই ঘটনা ঘটে। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা নিতু রানার সঙ্গে সিঙ্গুরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা মিকু ঘোষের বিয়ে হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে। নিতু পেশায় রূপটানশিল্পী। তাঁর স্বামী একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। নিতুর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁদের মেয়েকে অত্যাচার করা হত। তাই বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে উত্তরপাড়ায় মা-বোনের সঙ্গে থাকতেন নিতু। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে গন্ডগোল করতেন নিতুর স্বামী। এমনকি, নিতুর গায়েও হাত তুলতেন তিনি। গত ১৪ এপ্রিল উত্তরপাড়া থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করেন নিতু। তার পরেই শুক্রবারের এই ঘটনা।
পরিবারে অভিযোগ, সন্ধ্যায় মিকু সকলের অজান্তে ফ্ল্যাটের চিলেকোঠায় বসে ছিলেন। বিকেলেই শাশুড়ি ঝর্না রানা ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান। মূল দরজায় তালা দেওয়া ছিল। ভিতরে ছিলেন নিতু এবং তাঁর বোন। অভিযোগ, ইট দিয়ে তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকেন মিকু। তার পরেই স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। ফল কাটার ছুরি দিয়েও আঘাত করার চেষ্টা করেন। ঘাড়ে এবং মুখে আঘাত পান নিতু। তাঁর চিৎকার চেঁচামেচিতে পাশের ফ্ল্যাটের এক যুবক গন্ডগোল সামলানোর চেষ্টা করেন। নিরস্ত্র করেন অভিযুক্তকে। তার মধ্যে আবাসনের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা জড়ো হন। অভিযোগ, এর পর ফ্ল্যাটের একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন মিকু। খবর যায় উত্তরপাড়া থানায়। পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায় অভিযুক্তকে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়ি এসে অশান্তি করেন অভিযুক্ত। স্ত্রীকে মারধর করেন। প্রতিবাদ করলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।