Calcutta High Court

বিল ২৪ লক্ষ টাকা! বাবা ও সন্তানকে ছাড়তে নারাজ বেসরকারি হাসপাতাল, পদক্ষেপ করল হাই কোর্ট

গত ৩১ মার্চ থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গীতাংশ আগরওয়াল ও তাঁর সন্তান। দু’জনেই একটি সংক্রামিত অসুখে ভুগছিলেন। তার আগে তিনটি হাসপাতাল ঘুরতে হয়েছে বাবা-সন্তানকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ২২:৩৫
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

সংক্রমণ নিয়ে বাবা ও তাঁর তিন বছরের সন্তানকে ভর্তি করানো হয়েছিল কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কয়েক দিনে দু’জনের বিল হয় ২৪ লক্ষ টাকা। দু’জনে এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। অন্য দিকে, হাসপাতালের বিল দেখে সেখান থেকে ছাড়া পেতে চায় পরিবার। কিন্তু পুরো টাকা মেটাতে না-পারায় কাউকেই ‘রিলিজ়’ দেননি কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে ওই রোগীদের ছাড়ল হাসপাতাল। শুক্রবারের ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, তাঁরা এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবছেন।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, গত ৩১ মার্চ বাইপাসের ধারের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল গীতাংশ আগরওয়াল ও তাঁর সন্তানকে। দু’জনেই একটি সংক্রামিত অসুখে ভুগছিলেন। তার আগে তিনটি হাসপাতাল ঘুরতে হয়েছে বাবা-সন্তানকে। তার পরেও তাঁরা সুস্থ হননি। ওই হাসপাতালে এত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরেও সুস্থ হয়ে ওঠেননি তাঁরা। তাই হাসপাতাল থেকে ‘রিলিজ়’ চেয়েছিলেন। আর চিকিৎসার টাকা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের কাছে সময়ও চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতাল তা মানেনি। তারা জানিয়ে দেয়, পুরো টাকা ছাড়া ‘রিলিজ়’ দেওয়া হবে না। আতান্তরে পড়েন রোগী এবং তাঁদের পরিবার। শেষমেশ একটি সূত্র মারফত আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ওই দু’জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, রোগীর পরিবার চিকিৎসার খরচ শোধ করার জন্য খানিক সময় চেয়েছে। তারা টাকা দেবে না, এমনটা বলেনি। তাই দুই রোগীকেই ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি ওই নির্দেশে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশকে দায়িত্ব দেয় রোগীদের হাসপাতাল থেকে ‘বার’ করে আনার। রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, দু’জনকে ‘রিলিজ়’ দিয়েছে আদালত। রোগীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, বিপুল টাকা খরচের পরেও রোগী সুস্থ না হওয়ায় এখন সরকারি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করাতে চান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement