mystery death

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যমৃত্যু হুগলিতে! অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে

রেললাইন থেকে উদ্ধার হল ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কবিতা গুপ্ত। তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন মেয়েকে খুনের অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৬:০০
Share:

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য হুগলির চণ্ডীতলায়। —প্রতীকী চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন বধূ। তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন শ্বশুর। কিন্তু তার পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ ছিলেন ওই বধূ। শেষে রেললাইন থেকে উদ্ধার হল ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কবিতা গুপ্ত। তাঁর বাপের বাড়ি লোকজন মেয়েকে খুনের অভিযোগ করেছেন। আঙুল তুলেছেন কবিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বছরও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন কবিতা। কিন্তু বাংলা এবং এডুকেশন বিষয়ে অকৃতকার্য হন। এ বার ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার লিলুয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে হুগলির চণ্ডীতলার নৈটি স্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্রে কবিতাকে পৌঁছে দেন শ্বশুর। পরীক্ষার পর বৌমাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বৌমাকে আর বেরোতে দেখেননি বলে শ্বশুরের দাবি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবরের পর কোথাও বৌমাকে পাননি। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর কবিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় জনাই এবং গোবরা স্টেশনের মাঝে ১৪ নম্বর রেলগেট এলাকায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় রেল পুলিশ। চিকিৎসক কবিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রেলপুলিশ সূত্রে খবর, তারা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।

কবিতার বাপের বাড়ি সূত্রে খবর, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কবিতার বিয়ে হয় লিলুয়ার বাসিন্দা দেবাশিস গুপ্তের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য কবিতার উপর চাপ সৃষ্টি করা হত বলে অভিযোগ তাঁদের। কবিতার এক আত্মীয় সঞ্জীব মাঝির কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার কবিতাকে নিয়ে ওর শ্বশুর সুশান্ত দাশগুপ্ত নৈটি এসেছিলেন। উনি বাড়িতে জানান কবিতাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! বেশ কিছু ক্ষণ পরে আমরা জানতে পারলাম রেললাইন থেকে ওর দেহ উদ্ধার হয়েছে। আমাদের সন্দেহ কবিতার শ্বশুরই ওকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে। আবার এ-ও হতে পারে সংসারের ঝামেলায় আত্মহত্যা করেছে ও। আমরা এর তদন্ত চাই।’’ একই অভিযোগ করেন কবিতার মা অনিতা সরকারও। তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন। শুক্রবার মৃতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement