হাওড়ার শ্যামপুরে তৈরি করা হয়েেছে এই জঙ্গল। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও থাবা বসিয়েছে কংক্রিটের জঙ্গল। কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। যার জেরে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। তাই পরিবেশ বাঁচাতে জাপানের মিয়াওয়াকি জঙ্গলের মতো কৃত্রিম ভাবে অরণ্য তৈরি করল হাওড়া জেলা পরিষদ। হাওড়ার শ্যামপুর এক নম্বর ব্লকের কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কয়েক বিঘা জমির উপর তৈরি করা হয়েছে ওই জঙ্গল। যা দেখে মনে হবে, গহীন অরণ্য। আর জঙ্গল মানেই বিভিন্ন পাখি এবং প্রজাপতির দেখাও মিলবে।
কী এই মিয়াওয়াকি জঙ্গল? বটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী বসন্ত সিংহ রায়ের কথায়, ‘‘জাপানের উদ্ভিদবিজ্ঞানী আকিরা মিয়াওয়াকি সে দেশের পরিবেশ বাঁচাতে অরণ্য তৈরির পরিকল্পনা করেন। এক সময় জাপানে জনসংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রচুর বাড়িঘর তৈরি হয়। বহু কলকারখানাও তৈরি হয়। ফলে পরিবেশ বাঁচাতে ছোট জায়গায় অরণ্য তৈরির পরিকল্পনা করেন মিয়াওয়াকি। যা খুবই সফল হয়। আমাদের দেশেও এই পদ্ধতিতে অরণ্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।’’ বসন্তের কথায়, ‘‘অল্প জায়গার মধ্যে বিভিন্ন স্থানীয় গাছ বসানো হয়। এর মধ্যে ফুল এবং ফলের গাছ থাকে। যে জন্য প্রচুর পাখি, প্রজাপতি এবং জীবজন্তু আসে। অল্প জায়গার মধ্যে প্রচুর গাছ থাকায় সূর্যের আলো পাওয়ার জন্য খুব তাড়াতাড়ি গাছগুলি বড় হতে থাকে।’’
হাওড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় দূষণ রুখতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কমলপুরে নদীর ধারে অরণ্য তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। দু’বছরের মধ্যে সেখানে গভীর জঙ্গল তৈরি হয়। শহর লাগোয়া এলাকায় আরও চারটি জায়গায় এমন জঙ্গল তৈরি করা হবে।’’