Murder Case

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মাথায় লাঠির বাড়ি, খুন হলেন প্রৌঢ়া! হাওড়ায় নাবালিকা-সহ ধৃত তিন

এক তরুণী একটি ছেলেকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান মা রশিদা বেগম। তখন তাঁর উপর লাঠির আঘাত এসে পড়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তিতে বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক প্রৌঢ়া। পিটিয়ে খুনের এই ঘটনায় এক নাবালিকা-সহ তিন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাওড়ার আন্দুলের আড়গড়ি ফকিরপাড়ায় ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রশিদা বেগম (৫৫)।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অশান্তি থামাতে যান রশিদা। অভিযোগ, সেই সময় রুবিনা শাহ নামে বছর কুড়ির এক তরুণী প্রৌঢ়ার ছোট ছেলেকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান রশিদা। তখন তাঁর উপর লাঠির আঘাত এসে পড়ে। অকুস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে কিছু ক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় রশিদার। শুরু হয় শোরগোল।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এক নাবালিকাকে নিয়ে রুবিনার পরিবারের সঙ্গে মৃতার দুই ছেলের মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হত। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ঝামেলা হাতাহাতির পর্যায়ের পৌঁছে যায়। আর সেই অশান্তি থামাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারান রশিদা। তিনি হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

চিকিৎসার কোনও রকম সুযোগ পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। সাঁকরাইল থানার পুলিশ অভিযুক্ত নুরপান শাহ, রুবিনা এবং এক নাবালিকাকে গ্রেফতার করেছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাওড়া পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সাঁকরাইল থানার পুলিশ খুনের মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত তিন জনের মধ্যে দু’জনকে শুক্রবার হাওড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক নুরপনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত এবং রুবিনাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশপাশি, ওই নাবালিকাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement