নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতী। নিজস্ব চিত্র।
অপরাধের পর দুষ্কৃতীদের গা ঢাকা দেওয়ার ‘আস্তানা’ নেশামুক্তি কেন্দ্র! বুধবার ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই দুটি ‘আশ্রয়ের’ সন্ধান পেয়ে তাজ্জব হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ।
বেশ কিছু দিন ধরে হাওড়া শহরে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশ বেড়েছে। হয়তো রাস্তায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে কেউ অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটছেন। চকিতে তাঁর হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গত ১১ মে এমনই একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।
অনেক চেষ্টাচরিত্রের পর সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাওয়া যায়। এর পর দুই ছিনতাইকারীকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে ধরা হয়। সেখানে পৌঁছে তাজ্জব পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ছিনতাইকারীরা আত্মগোপনের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছিল হাওড়ার ডোমজুড় এবং লিলুয়ার দুটি নেশামুক্তি কেন্দ্রকে। এর পরই লিলুয়া থেকে বিশ্বনাথ দাস এবং মাকরদহ থেকে সুপ্রভাত প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দু’জনেই গত ১১ মে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হয়। পুলিশের কাছে নিজেদের অপরাধের কথাও স্বীকার করেছে তারা। ওই ছাত্রীর চুরি যাওয়া মোবাইলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাওড়ার সিটি পুলিশের ডিসি (উত্তর) অনুপম সিংহ জানান, ধৃত দুই যুবককে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে আর কোনও অপরাধের ঘটনায় তারা যুক্ত ছিল কি না তা-ও খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্য দিকে লিলুয়ার ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ভীম গুপ্তের দাবি, তারা নাকি বুঝতেই পারেননি যে কোনও অপরাধী এখানে এ ভাবে আসতে পারে। তবে পুলিশের তরফে তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর।