Death By Electrocution

ছাত্রী-মৃত্যুতে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এফআইআর করবে পুরসভা

গত বৃহস্পতিবার রাতে সালকিয়ার ভৈরব ঘটক লেনে বহুতল থেকে ‘হুকিং’ করে নেওয়া বিদ্যুতের খোলা তারে ছাতা লেগে গিয়েছিল পৌরবী দাস নামে ওই ছাত্রীর। জমা জলে দাঁড়িয়ে থাকায় তা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ০৭:১৫
Share:

সালকিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর। —নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার সালকিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় যে বহুতল থেকে ‘হুকিং’ করে বিদ্যুতের তার টানা হয়েছিল, সেই বাড়িটিকে হাওড়া পুরসভা বেআইনি ঘোষণা করে নোটিস পাঠিয়েছিল আগেই। এ বার ওই বহুতলের প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। শনিবার হাওড়া পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী। তিনি আরও জানান, হাওড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জমা জল থেকে রেহাই দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দু’টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প দিচ্ছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। যার মধ্যে একটি পাম্প ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার রাতে সালকিয়ার ভৈরব ঘটক লেনে বহুতল থেকে ‘হুকিং’ করে নেওয়া বিদ্যুতের খোলা তারে ছাতা লেগে গিয়েছিল পৌরবী দাস নামে ওই ছাত্রীর। জমা জলে দাঁড়িয়ে থাকায় তা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সঙ্গে সঙ্গে জলেই আছড়ে পড়েন এম এসসি-র দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। এই ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে, এলাকা থেকে ধীরে ধীরে জমা জল নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর পরেই এ দিন পুর চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, যে বহুতল থেকে ‘হুকিং’ করে বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছিল, সেটি বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। এ বার ওই বহুতলের ক’টি তল বেআইনি ভাবে করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা।

এ দিকে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হাওড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন হওয়ার পরে পুরসভা জানিয়েছে, চেয়ারপার্সনের আর্জিতে সরকার দু’টি উচ্চ ক্ষমতার পাম্প বরাদ্দ করেছে। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যে একটি ৩২ অশ্বশক্তির পাম্প পাঠিয়েছেন। সেটি রামরাজাতলা এলাকার জমা জল বার করার জন্য কোনা এক্সপ্রেসওয়ের জানা গেটের কাছে বসানো হয়েছে। অন্য পাম্পটি এলে তা বেলগাছিয়ার জমা জল বার করতে বসানো হবে। তবে টানা বৃষ্টির জেরে হাওড়ার নিচু এলাকাগুলি থেকে এ দিনও জমা জল নামেনি। ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের ইছাপুর সংলগ্ন এলাকা, বেলগাছিয়া, বেনারস রোড-সহ উত্তর হাওড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকাগুলি থেকে জল নামাতে ৬৩টি পাম্প কাজ করছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement