সম্পত্তিকরের বিলে আমূল পরিবর্তন আনল হাওড়া পুরসভা। ফাইল চিত্র।
সম্পত্তিকরের বিলে আমূল পরিবর্তন আনল হাওড়া পুরসভা। একই সঙ্গে সোমবার সম্পত্তিকর সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, এ বার থেকে সম্পত্তিকরের বিল হবে রঙিন। কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানার জন্য কিউআর কোড সংবলিত বিল পাবেন নাগরিকেরা। এর পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বাড়ি, কারখানা অথবা অফিসে জমে থাকা জঞ্জাল পুরসভা পরিষ্কার করলে তার খরচ যোগ করা হবে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের সম্পত্তিকরের বিলে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ছিল, হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে এখন সম্পত্তিকরের যে ত্রৈমাসিক বিল পাঠানো হয়, তার কাগজের মান এবং ছাপা এতই খারাপ যে অনেক ক্ষেত্রে সেই লেখা পড়াই যায় না। এই সমস্যা দূর করতে এ বার পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দামি কাগজে ঝকঝকে রঙিন বিল পাঠানো হবে। বিলের উপরে ডান দিকে থাকবে একটি কিউআর কোড। যা স্ক্যান করলে বাড়ির মালিক পুরনো করের সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। তিনি বাড়িতে বসেই অনলাইনে সম্পত্তিকর জমা দিতে পারবেন।
এর পাশাপাশি, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গির সময়ে বহু এলাকা থেকে এই অভিযোগ আসে যে বন্ধ থাকা বাড়ি বা কারখানায় জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়ার কারণে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। সেই কারণে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বার থেকে পুরসভা ওই আর্বজনা পরিষ্কার করলে তার খরচ যোগ করা হবে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের সম্পত্তিকরের বিলে। পুরসভার বক্তব্য, বন্ধ বাড়ি বা কারখানায় জমে থাকা জঞ্জাল প্রতি বছর তাদেরই জনস্বার্থে পরিষ্কার করতে হয়। কারণ, নাগরিকদের একাংশ ওই জায়গাগুলিতে অবাধে জঞ্জাল ফেলেন। গত বছর এই ধরনের বন্ধ বাড়িতে নোটিস সেঁটেও কাজ হয়নি। তাই এমন সিদ্ধান্ত।
চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে তা হল, সরকারি অনুদানে চলা স্কুলগুলি থেকে চলতি আর্থিক বছরে সম্পত্তিকর নেওয়া হবে না। তার বদলে, সম্পত্তিকরের বার্ষিক মূল্যায়নের এক শতাংশ সার্ভিস চার্জ হিসাবে নেওয়া হবে। এতে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির করের ভার অনেকটাই লাঘব হবে।’’