হাওড়ায় ভ্যাট সাফাইয়ের পরে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে রাখা হয়েছে সময় ও তারিখ। নিজস্ব চিত্র।
সাতসকালে ঘুম থেকে উঠেই রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুরসভার আবর্জনা-বোঝাই গাড়ি বা ডাম্পার আর দেখতে হবে না হাওড়াবাসীকে। এমনটাই জানিয়েছেন হাওড়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ভাবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ১০টি ভ্যাট চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। ওই সমস্ত ভ্যাট থেকে প্রথম দফায় সকাল ৬টার মধ্যে আবর্জনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় জঞ্জাল তুলতে হবে দুপুর ২টোর পরে। কারা, কখন, কবে আবর্জনা তুলছেন, তা ওই সমস্ত ভ্যাটের পাশে টাঙানো বোর্ডে লিখে জানাতে হবে। এর কোনও রকম অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে জরিমানা দিতে হবে।
পুরসভার ভ্যাট থেকে আবর্জনা তোলার কোনও নির্দিষ্ট সময় না থাকায় দেখা যায়, সকালে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাওয়ার সময়ে অথবা অফিসের ব্যস্ত সময়ে ভ্যাট থেকে আবর্জনা তুলতে রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুরসভার গাড়ি বা ডাম্পার। পুরকর্তাদের বক্তব্য, এর জেরে এক দিকে যেমন শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হয়, অন্য দিকে জঞ্জালের তীব্র কটু গন্ধে টিকতে পারেন না পথচারীরা। পরিবেশ দূষণ তো ঘটেই, দৃশ্যদূষণেও বিরক্ত হন সাধারণ মানুষ। এই সমস্যা থেকে হাওড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিতেই এ বার স্কুলের বা অফিসের সময়ে ভ্যাট থেকে জঞ্জাল তোলা যাবে না বলে ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দিল হাওড়া পুরসভা। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে ১০টি ভ্যাটকে চিহ্নিত করা হলেও পরে অন্যান্য এলাকাতেও এই ব্যবস্থা চালু হবে।
এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাওড়া শহরের জঞ্জাল সাফাইয়ের দায়িত্বে থাকা সব ঠিকাদার সংস্থাকে সকাল ৬টার আগে, অর্থাৎ স্কুলের সময় শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার ভ্যাটগুলি থেকে জঞ্জাল সাফ করে ফেলতে বলা হয়েছে। যাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দৃশ্যদূষণ বা যানজটের মধ্যে পড়তে না হয়। এর পরে ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি ভ্যাট চিহ্নিত করে একই নির্দেশ দেওয়া হবে।’’
পাশাপাশি, ভ্যাট থেকে নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে এখন থেকে প্রতিটিভ্যাটের সামনে ব্ল্যাকবোর্ড টাঙানো থাকবে। কবে, কখন জঞ্জাল তোলা হচ্ছে, ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে সেখানে তা লিখতে হবে। গাড়ির নম্বর ও চালকের লাইসেন্সের নম্বরও লিখতে হবে।