ছুরি দিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন মুটের। প্রতীকী চিত্র।
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া পাইকারি সব্জিবাজারে হোটেলের ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে খুন করলেন এক মুটে। প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া পাইকারি সব্জিবাজারের একটি হোটেলে ঢোকেন এক মুটে। হোটেল মালিক ঝড়ো চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। পরে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। কিছু ক্ষণের মধ্যে পকেট থেকে ছুরি বার করে ৬২ বছরের ঝড়োকে আঘাত করেন বরণ সাহানি নামে ওই মুটে। হোটেল ব্যবসায়ীর বুকে ছুরি মারেন তিনি। নিজের হোটেলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মালিক। তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে পালান বরণ।
হোটেলের কর্মচারী এবং বাজারের ব্যবসায়ীরা ঝড়োকে নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মারা যান ওই ব্যবসায়ী। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত বরণ ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁর বাড়ি বিহারে। সেখানেই পালানোর সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। বরণের খোঁজে হাওড়া পুলিশের একটি দল বিহারে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতা নিয়ে বচসা হয়। সেখান থেকেই এই খুনের ঘটনা।
অন্য দিকে, দিনেদুপুরে সর্বসমক্ষে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত সব্জি বাজারের ব্যবসায়ীরা। ‘হাওড়া ভেজিটেবিল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক বিনয় সোনকর বলেন, ‘‘এত বড় বাজারে অন্যান্য জেলা থেকে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। সবার ওপরে তো নজরদারি সম্ভব নয়। কে পকেটে করে ছুরি নিয়ে আসছে, তা-ও জানা সম্ভব নয়।’’ ওই খুনের ঘটনার পর শুক্রবার ব্যবসায়ীরা একটি বৈঠক করেন। বাজারে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, পুরো বাজারে সিসিটিভি বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।