শ্রমিক অসন্তোষে জেলা সদরে ময়লার স্তূপ। নিজস্ব চিত্র।
পেরোল আরও একটি দিন। অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মীরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় বুধবারও চুঁচুড়া শহরে নিকাশি নালা ও রাস্তা সাফাইয়ের কাজ বন্ধ রইল। এই পরিস্থিতিতে পাশের শহর চন্দননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকের মৃত্যুর খবরে চিন্তা বেড়েছে চন্দননগর লাগোয়া হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার কর্তাদের। চন্দননগর লাগোয়া ২৯, ৩০, ২২ প্রভৃতি ওয়ার্ডে কিছু স্থায়ী কর্মীকে ব্যবহার করেই সাফাইয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর হিমাংশু চক্রবর্তী।
বকেয়া মজুরির দাবিতে গত রবিবার থেকে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। যার জেরে সাফাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ। গত এক সপ্তাহে এই পুর এলাকার কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি বলে দাবি হিমাংশুর। অবশ্য তিনি একইসঙ্গে বলেছেন, ‘‘চুঁচুড়া লাগোয়া চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরেডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছে।তাই এই শহরেও বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’ পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী বলেন, ‘‘কেউজ্বরে আক্রান্ত হলেই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিত্যদিন যোগযোগ রাখতে বলা হচ্ছে।’’
কিন্তু শহর সাফাই, নিকাশি নালা পরিষ্কার না হলে তো বিপদ?
জয়দেব বলেন, ‘‘সে সমস্যা রয়েছে। তবে, অতি প্রয়োজনে হাতেগোনা কিছু স্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।" হিমাংশু বলেন, "প্রতিদিন ভিসিএমও (ভেক্টর বর্ন মেডিক্যাল অফিসার)-রা বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিচ্ছেন।’’
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আবর্জনা জমছে। অলি-গলির ভ্যাটগুলি উপচে পড়ছে। বহু নালা-নর্দমা ভরে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজ অখুশি। পুর-সমস্যার দ্রুত সমস্যার সমাধান চাইছেন তাঁরা।
গত কয়েক দিনের মতো বুধবারেও সকাল থেকে পুরসভা গেটে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মী। বকেয়া মজুরি না পেলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। মঙ্গলবার, নাতনির বিয়ের জন্য ‘রূপশ্রী’র আবেদনপত্র নিতে এসে ফিরে যেতে হয় এক বৃদ্ধাকে। সে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বুধবার, বিক্ষোভ চলাকালীন ওই বিভাগ খোলা রাখার কথা ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।