প্রতীকী ছবি।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে হুগলিতে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েত এলাকাতেই মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার শুরু হয়েছে। নড়বড়ে মাটির বাড়ি চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজনে পরিবারগুলিকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড় হলে পুর এলাকায় ভেঙে পড়তে পারে (ফ্লেক্স-ব্যানার ইত্যাদি) এমন জিনিস খুলে ফেলতে বলা হয়েছে। কালীপুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপের উচ্চতা নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। তৈরি রাখা হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট। থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি বলেন, “জেলায় শুধু ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও সব রকম বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছি। শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত কন্ট্রোল-রুম খোলা হয়েছে। বিদ্যুৎ, পূর্ত, স্বাস্থ্য, সেচ-সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।”
নদনদী ঘেরা আরামবাগ মহকুমার ভৌগোলিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার দু’টি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানকার ফেরিঘাটগুলি বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। সর্বত্রই মজুত রাখা হচ্ছে উদ্ধারকারী গাড়ি এবং অ্যাম্বুল্যান্স। বিভিন্ন রাস্তায় গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনগুলিতে ত্রিপল-সহ ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হচ্ছে।