HIV

তৃণমূলকে ভোট দেননি বলে ভাত বন্ধ! এইচআইভি আক্রান্ত দম্পতির অভিযোগে শোরগোল

‘সহায় প্রকল্পে’-র আওতায় খাবার পাচ্ছিলেন এইচআইভি আক্রান্ত দম্পতি। পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে তাঁরা সেই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কাজের সূত্রে ভিন্‌রাজ্যে ছিলেন হাওড়ার এক দম্পতি। সেখানে এইচআইভি আক্রান্ত হন। পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলকে ভোট না দেওয়ায় ওই দম্পতিরই খাবার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দম্পতির অভিযোগ, তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় সরকারি প্রকল্প থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। শনিবার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। বিডিও অফিস থেকে জানা যাচ্ছে, পুনরায় তাঁদের জন্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা চালু হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল হাওড়ার শ্যামপুরে।

Advertisement

ওই দম্পতি জানিয়েছেন ২০১২ সালে তাঁরা কাজের জন্য মুম্বই যান। সেখানে এইচআইভি আক্রান্ত হন। মুম্বইয়ে তাঁদের চিকিৎসা চলছিল। চার বছর পর বাড়িতে ফিরে আসেন তাঁরা। এর পর ‘সহায় প্রকল্পে’-র আওতায় খাবার পাচ্ছিলেন। এখন তাঁদের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে ভোট দিইনি। সে কথা জানার পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকর আলি আমাদের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।’’ এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির কথায়, “আমি অনেক দিন মুম্বইয়ে ছিলাম। ২০১৬ সালে এখানে আসি। এত দিন বিছানায় পড়ে ছিলাম। বিডিও-র মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের খাবার পাচ্ছিলাম। এই বার পঞ্চায়েত ভোটে আমি তৃণমূলকে ভোট দিইনি। সেটা জানতে পেরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমার বাড়িতে এসে জানান, দলকে ভোট দাওনি, তাই তোমার ভাত বন্ধ।”

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “এই অভিযোগ সঠিক নয়। যে হেতু আমাদের শ্যামপুর ব্লকে ওই প্রকল্প চলে না, তাই মিড-ডে মিলের খাবার থেকে ওঁদের খাবার দিচ্ছিলাম। তিনি কোন দল করেছেন, কোন দল করেননি, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। উনি দুঃস্থ, অসহায় এবং হতদরিদ্র। উনি খাবার পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আমার নজরে এসেছে, আমি দেখব ওঁরা যাতে খাবার পান।”

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘‘একটা সমস্যা হয়েছিল। ওই দম্পতি বিষয়টি জানান। তার পর সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement