রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা সুকান্ত মজুমদারের। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। রাজ্যপালের প্রধান সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গত শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন সুকান্ত। ঘটনাচক্রে, এর পরই নন্দিনীকে সরানোর কথা জানা যায় রাজভবন সূত্রে। রাজ্যপালের সঙ্গে সুকান্তের সাক্ষাতের পর এই পদক্ষেপ নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। সেই ঘটনাপ্রবাহে নতুন সংযোজন সোমবার হুগলিতে সুকান্তের এই মন্তব্য।
সোমবার সুকান্ত যোগ দিয়েছিলেন হুগলির ত্রিবেণীর কুম্ভমেলায়। সেখানে নন্দিনীকে সরানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘আমি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তার পর নন্দিনী সরেছেন। তার মানে এই দু’টির মধ্যে সম্পর্ক আছে এমন ভাবার বিষয় নেই।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘আবার সম্পর্ক নেই তা-ও ভাবার বিষয় নেই। রাজ্যপাল তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই। আমি রাজ্যপালকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি। তিনি বুদ্ধিমান মানুষ এবং যথেষ্ট জ্ঞানী মানুষ। তিনি তাঁর মতো সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
আনন্দ এ রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলছিল বিজেপি। সেই সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, এই রসায়নের নেপথ্যে রয়েছেন নন্দিনী। এর পর রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোয় ‘হাতেখড়ি’, সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ নিয়েও নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। এই আবহে শনিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন সুকান্ত। আনন্দের সঙ্গে ঘণ্টা দু’য়েক বৈঠক করেন তিনি। বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘‘এক এক জনের কাজের ধরন এক এক রকম।’’ রাজ্যপাল এবং সুকান্তের সাক্ষাতের পরই রাজভবনের তরফেও জারি করা হয় ‘কড়া বিবৃতি’। সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নন্দিনীকেও।