ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার গুলির খোল। — নিজস্ব চিত্র।
সুদে ধার নেওয়া টাকা না মেটাতে পারায় গুলি চলল হুগলির গোঘাটে। পুলিশ সূত্রে খবর, টাকা ধার নিয়েছিলেন বাবা। সেই টাকা চাইতে গিয়ে ছেলের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন কয়েক জন। তার পরেই ছেলেকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ যুবককে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের মথুরা গ্রামের পূর্ব অমলা পাড়ায়। গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অর্জুন রায়। জানা গিয়েছে, আরামবাগের এক যুবকের কাছে গোঘাটের মথুরা গ্রামের বাসিন্দা ফটিক রায় ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা মেটাতে না পারায় রাতে আরামবাগ থেকে একটি বাইকে করে তিন জন মথুরা গ্রামের ফটিকের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ফেরত চাইতে যান। ফটিক টাকা ফেরাতে না পারায় তিন যুবক তাঁকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে আসেন বৃদ্ধের স্ত্রী। দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথায় বন্দুক ধরেন। সেই সময় মাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন ছেলে অর্জুন। তাঁর সঙ্গে দুষ্কৃতীদের বন্দুক নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে দেন। গুলি লাগে অর্জুনের বাঁ হাতের কব্জির কাছে।
গুলি চলার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। লোকজন দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুষ্কৃতীরা। গ্রামবাসীরা তাঁদের এক জনকে ধরে ফেলেন। আটক করা হয় বাইকটিও। খবর দেওয়া হয় গোঘাট থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গ্রামবাসীরা আটক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি অর্জুনকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে ফটিক রায় টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধ করতে পারছিলেন না। এর আগেও যাঁরা ওঁকে টাকা ধার দিয়েছিলেন, তাগাদা দিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। গত কাল (শনিবার) বাইক নিয়ে তিন জন যান। টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। তখনই গুলি চলে। ফটিকের ছেলের হাতে গুলি লাগে। তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।