প্রতীকী ছবি
‘‘ক্লাস টেনের পরে আর পড়াতে পারিনি। অভাবের সংসার, তাই কাজ করছিল মেয়েটা’’— গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এমনটাই বলছিলেন প্রৌঢ় অনিল মাহাতো। মঙ্গলবার সকালে বেলুড়ের জগন্নাথঘাটে তলিয়ে গিয়েছে তাঁর বড় মেয়ে পরিণীতা মাহাতো (১৫)। রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি।
বেলুড়ের জঙ্গি সিংহ গলির বাসিন্দা পরিণীতা ও তার মেজো বোন তৃপ্তি প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির একটি কারখানায় কাজ করে। কারখানার সামনে একটি কলে হাত-পা ধুয়ে কাজে যোগ দেয় তারা। কিন্তু এ দিন কলে জল ছিল না। তাই তারা গঙ্গায় হাত-পা ধুতে গিয়েছিল। জোয়ারের সময়ে ঘাটের সিঁড়িতে পা পিছলে গঙ্গায় পড়ে যায় পরিণীতা। তৃপ্তির কথায়, ‘‘দিদিকে ধরতে গিয়েও পারলাম না। ভেসে যাচ্ছে দেখে চিৎকার শুরু করি।’’ আশপাশের লোকজন ছুটে এলেও তার আগেই পরিণীতা তলিয়ে যায়। সে সাঁতার জানত না।
বেলুড় থানার পুলিশ এসে ডুবুরি বীরেন কর্মকারকে গঙ্গায় নামায়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও তল্লাশি চালায়। হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘‘জোয়ারে খুবই বিপজ্জনক হয়ে থাকে ঘাটটি। সরকারের কাছে আবেদন করব, ঘাটটি যাতে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়।’’