কোন্নগরে গঙ্গা আরতি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন্নগর পুরসভা। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ধাঁচে রাজ্যেও গঙ্গা আরতি হোক। সেই মতো হুগলির কোন্নগরের বারো মন্দির ঘাটে শুরু হল সন্ধ্যা আরতি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কোন্নগরে গঙ্গা আরতি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় কোন্নগর পুরসভা।
গত সোমবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘কেন আমাদের রাজ্যে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা যাবে না?’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমাদেরও গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দু’বছর সময় লাগলে কিছু যায় আসে না। কিন্তু দেখতে হবে, লোকে যাতে পড়ে না যায়। এমন একটা জায়গায় করতে হবে যেখানে মন্দির আছে। যেখানে একটু বসার জায়গা আছে। যে জায়গাটা লোকে শান্তির পীঠস্থান বলে মনে করে। সেই রকম জায়গা দেখে এটা করতে হবে। কলকাতা পুরসভাকে আমি এই দায়িত্ব দিচ্ছি।’’
মমতার এই বার্তার পরেই কোন্নগর পুরসভা তৎপর হয়ে বারো মন্দির ঘাটে প্রত্যেক দিন সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতির সিদ্ধান্ত নেয়। তার সূচনা হল বৃহস্পতিবার থেকে। সূত্রের খবর, এই ঘাটে আগেও সন্ধ্যা আরতি হয়েছে। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।