Funeral

হুগলিতে প্রত্যেক শহরে, পঞ্চায়েতে সৎকারের ব্যবস্থা

প্রতিটি পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় অন্তত একটি শ্মশান এবং কবরস্থানকে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের জন্য চিহ্নিত করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২১
Share:

মৃতদেহ  নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে। বুধবার। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করতে বা কবর দিতে যথাসম্ভব সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে প্রতি পুরসভা এবং পঞ্চায়েতে অন্তত একটি করে কোভিড শ্মশান ও কবরস্থান নির্দিষ্ট করতে চাইছে হুগলি জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনকে জেলা প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয় বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় অন্তত একটি শ্মশান এবং কবরস্থানকে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের জন্য চিহ্নিত করতে হবে। কোথাও তা না থাকলে অস্থায়ী ভাবে শ্মশান বা কবরস্থান তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি জমি চিহ্নিত করে ওই অস্থায়ী শ্মশান বা কবরস্থান তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে ওই কাজ করতে মহকুমাশাসক, বিডিও, পুলিশ বা পুরসভাকে সাহায্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনার প্রথম পর্যায়ে ভদ্রেশ্বরের একটি শ্মশানে দাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। পরে সংক্রমণ হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনাও একেবারেই কমে যায়। করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এই পর্যায়ে কোভিড মৃতদেহ দাহ করতে বিভিন্ন শ্মশানে সমস্যা হয়। অন্য জেলায় গিয়ে দেহ দাহ করতে হয়েছে, এমন ঘটনাও ঘটেছে। তবে, জেলা প্রশাসনের দাবি, এখন সেই সমস্যা অনেকটাই কেটে গিয়েছেছে। জেলার শ্মশানেই দাহ করা হচ্ছে। শ্মশানগুলি নিয়মিত ভাবে স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে।

Advertisement

সরকারি তথ্য বলছে, গত ২০ তারিখ থেকে বুধবার পর্যন্ত ৯ দিনে হুগলি জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জন। অর্থাৎ, দৈনিক গড় ৩ জনেরও বেশি। তার মধ্যে সোম ও বুধবারের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, এই দু’দিন মারা গিয়েছেন ৫ জন করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement