উদ্ধার হওয়া বোমা। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আর বেশি দেরি নেই। পুলিশের তরফে বেআইনি অস্ত্র মজুত, উদ্ধারের জন্য লাগাতার তল্লাশি চলছে রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে শুক্রবার হাওড়ার দুই এলাকা থেকে মিলল বোমা। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হাওড়ায় কড়া টহলদারি চলছে। অশান্ত বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন দুপুরে রাজাপুরের বাণীবন পঞ্চায়েতের একটি মাঠে ছোট দু’টি গোলা নিয়ে ফুটবল খেলছিল খুদেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় খেলা থামিয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে গোলা দু’টি উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, ওগুলো আদতে বোমা। গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। কোথা থেকে ওই বোমা এল, তা জানতে তদন্ত চলছে।’’
বোমা উদ্ধার ঘিরে এলাকার তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীর মধ্যে শুরু হয়েছে বিবাদ।উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূলের যুব সভাপতি পিন্টু মণ্ডল বলেন, ‘‘দল যাদের টিকিট দেয়নি তারা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছে। মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য তারাই এই কাজ করেছে।’’ ওই পঞ্চায়েতের ২৩৩ নম্বর বুথের ২৪ নম্বর আসনে নির্দল প্রার্থী শেখ তসলিমার স্বামী পিয়ার আলি বলেন, ‘‘ এই এলাকায় আমরা জিতব বুঝতে পেরেই তৃণমূলের লোকেরা বোমা ফেলে রেখেছিল।’’
এ দিনই ডোমজুড়ের করোলা-১ পঞ্চায়েতের নতিবপুরের একটি বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৩০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। যে ব্যক্তির বাড়ির পাশের পুকুর থেকে সেগুলি মিলেছে, সেই বাড়ির মালিক মিনসার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি থেকে বোমার মশলাও মিলেছে। ধৃতের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।