মর্মান্তিক: এই ছাঁট লোহার কারখানাতেই বিস্ফোরণের জেরে আহত হন ছয় শ্রমিক। শুক্রবার, হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
হাওড়ার ঘুসুড়ির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’দফায় তদন্তে গেল ফরেন্সিক দল। ঘটনার দিন, অর্থাৎ, বুধবার রাতে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করার পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও ওই দলটি গুহ রোডের কারখানায় ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করে। দুর্ঘটনার পরেই কারখানাটিকে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। কারখানা কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বুধবার সকালে যখন গ্যাস কাটার দিয়ে বাতিল পেট্রল ট্যাঙ্কার কাটাইয়ের কাজ চলছিল কারখানায়, তখন সেই খালি ট্যাঙ্কারে জমে থাকা গ্যাস শ্রমিকেরা বার করেননি। ফলে, ট্যাঙ্কারের ভিতরে গ্যাস কাটারের আগুনের ফুলকি ঢুকতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলছেন, ‘‘পেট্রল-ডিজ়েলের খালি ট্যাঙ্কার পরিষ্কার করলে বা কাটাইয়ের কাজ করার আগে ভিতরে জমা গ্যাস বার করে দিতে হয়। তার পরে কাজ করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা না করায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (নর্থ) অনুপম সিংহ বলেন, ‘‘আপাতত এই ঘটনায় একটি গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করে মামলা রুজু হয়েছে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়ে শ্রমিকেরা কাটাইয়ের কাজ করছিলেন কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।" তিনি জানান, এই ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। বিস্ফোরণের পিছনে অন্য কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।