পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা নিজস্ব চিত্র।
ডিভিসি থেকে দু’দিনে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। শনিবার উদয়নারায়ণপুরের বিডিও অফিসে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, হাওড়া জেলা গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়, উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
গত বুধবার রাত থেকে নিম্নচাপের জেরে দফায় দফায় বর্ষণের ফলে দামোদর নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। পাশাপাশি শুক্রবার দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৫০ হাজার কিউসেক এবং শনিবার সকালে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেচ দফতরের আধিকারিকরা বকপোতা সেতুর কাছে দামোদর নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশে নদী বাঁধের পাশে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই মাইকিং করা হচ্ছে। সকলকে নিরাপদে রাখার ও খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১২টি ফ্লাড সেন্টারকে তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে গ্রামবাসীরা ওখানে থাকতে পারেন। শুকনো খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।