Firhad Hakim

Firhad-Jagdeep: পুর বিলে রাজ্যপাল সই করেননি, তাই ভোট হয়নি, হাওড়াবাসী কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ফিরহাদ

গত বছর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয়েছে ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২২ ২৩:০৯
Share:

ফাইল চিত্র।

রাজ্যের পুরমন্ত্রী হয়েও হাওড়ায় এখনও পুরভোট করাতে পারেননি তিনি। কারণ, রাজ্যপাল হাওড়া বিলে সই করেননি। এমন দাবি করে হাওড়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যপাল বিলে সই করলেই হাওড়ায় পুরভোট করানো হবে।

Advertisement

সোমবার হাওড়ায় নবরূপে সজ্জিত টাউন হল উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ফিরহাদ। ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়ায় পুরভোট করানোর জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু রাজ্যপাল হাওড়া কর্পোরেশনের ছোট্ট একটি সংশোধনী বিলে সই না করে আটকে রেখেছেন। তাই আমরা ভোট করাতে পারছি না। অনেক চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত ভাবে একাধিক বার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি কেন সই করছেন না, জানি না। উনিই বলতে পারবেন কেন সই করছেন না।’’

ফিরহাদের দাবি, বালিতে পুর পরিষেবার মান উন্নত করতে রাজ্য সরকার হাওড়া থেকে বাদ দিয়ে বালিকে আলাদা পুরসভা ঘোষণা করে। সব কাগজপত্র রাজ্যপালকে পাঠানো সত্ত্বেও তিনি অজ্ঞাত কারণে সই করছেন না বলে দাবি করেন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পুরমন্ত্রী হিসেবে আমি হাওড়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। পুরসভা থাকবে কিন্তু কাউন্সিলর থাকবেন না, এটা সত্যিই লজ্জার। তবে এর জন্য উন্নয়ন থেমে থাকবে না। হাওড়ার উন্নয়ন যেমন চলছে তেমনই চলবে। কেউ বাধা দিতে পারবে না।’’ তিনি জানান, হাওড়ায় দ্রুত ভোট করানোর চেষ্টা করছেন। রাজ্যপাল পুরবিলের সংশোধনীতে সই করলেই হাওড়ার পুরভোট করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত বছর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয়েছে ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১’। এর ফলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৬ থেকে কমে ফের ৫০-এ দাঁড়ায়। বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করে দেওয়ার পরে হাওড়া পুরসভার যে অংশ পড়ে রইল, তার পুনর্বিন্যাস করেই ৫০টি ওয়ার্ড হয়। হাওড়া পুরসভায় আগে ৫০টি ওয়ার্ডই ছিল। ২০১৫ সালে ৩৫টি ওয়ার্ডের বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন হাওড়ায় ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৬। কিন্তু এখন হাওড়া ও বালি দু’টি পৃথক পুরসভা। এবং দু’টি পুরসভাতেই ভোট বকেয়া রয়েছে।

রাজ্য সরকার চেয়েছিল, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিধাননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরসভার সঙ্গে হাওড়ার ভোট করাতে। পরে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার সঙ্গে বালি পুরসভার ভোট হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। নভেম্বর মাসে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশেনে হাওড়া-বালি পুরসভার বিভাজন প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। পরে হাওড়াকে পৃথক পুরসভা করতেও সংশোধনী বিল পাশ করে রাজ্য। বিলটি রাজ্যপালের সইয়ের জন্য পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, তিনি বার বার চাওয়া সত্ত্বেও বিলটি সবিস্তারে তাঁকে জানানো হয়নি। ফলে তাঁর পক্ষে সই করা সম্ভব হচ্ছে না। ফিরহাদ সোমবার সেই প্রসঙ্গ তুলেই রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement