জ্বলন্ত: পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে তখনও জ্বলছে আগুন। রবিবার, ডোমজুড়ে। নিজস্ব চিত্র।
পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাস রহস্যজনক ভাবে ভস্মীভূত হয়ে গেল। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকলের অনুমান, সম্ভবত বাসগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের পার্কিং লটে।
পুড়ে যাওয়া বাসগুলির মধ্যে রয়েছে দু’টি স্কুলবাস ও একটি মিনিবাস। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা বাসে শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার আশঙ্কা কম। তাই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অনুমান জোরালো হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্তের পরে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।
দমকল সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে প্রথমে আগুন লাগে মিনিবাসে। সেই আগুন বিধ্বংসী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও দু’টি স্কুলবাসে। আগুনের তাপে কালো হয়ে যায় পাশে থাকা চতুর্থ বাসটিও। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকল আসে।
বছর দুয়েক আগে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যায়নের পরে উত্তর দিকে রিং রোডের পাশে একটি পার্কিং লট তৈরি হয়। হাওড়া পুরসভা সেটি তৈরি করেছিল
শুধুমাত্র স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের গাড়ি রাখার জন্য। কোনও বেসরকারি বাস বা গাড়ি দিনের পর দিন রেখে দেওয়ার জন্য নয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার কিছু লোক টাকা নিয়ে বেসরকারি বাস এবং গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করছেন ওখানে। এক বাসিন্দা পিন্টু মণ্ডল বলেন, ‘‘এই বেআইনি পার্কিংকে কেন্দ্র করে
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির মধ্যে নিত্যদিন অসামাজিক কাজ হয় ও নেশার আসর বসে। এ দিনও হয়তো বসেছিল। সেখান থেকেই আগুন লাগতে পারে।’’
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “ওখানে কেন বাস বা গাড়ি রাখা হয়েছে, এটা আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
দমকলের শিবপুর কেন্দ্রের স্টেশন অফিসার ভবানীপ্রসাদ দুবে অবশ্য অনেকটাই নিশ্চিত, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে সাধারণত শট সার্কিট হয় না। ফলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টিই সামনে আসছে।’’