ছবি: সংগৃহীত।
দশ মাস আগে ফেসবুকে বন্ধুত্ব। তার পর প্রেম। সেই প্রেমের পরিণতিতে পরস্পরকে বিয়েও করেছিলেন হুগলি দুই বাসিন্দা। কিন্তু সমলিঙ্গের সেই বিয়ে মানতে পারেনি এক জনের পরিবার। অভিযোগ, এর পর দম্পতিকে বাড়িতে এনে হেনস্থা করা হয়। এমনকি, বিচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ওই দম্পতির এক জন জানিয়েছেন, গত মাসেই তাঁরা বিয়ে করেন। উত্তর ২৪ পরগনার শহরতলিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তাঁরা থাকছিলেন। নেটমাধ্যমে তাঁদের সিঁদুরদানের ছবি দেওয়ার পরই পরিস্থিতি জটিল হয়। পরিবারের লোকজন এসে তাঁর বাড়িতে দু’জনকে নিয়ে আসে। সেখানেই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তাঁদের জোর করা হয় বলে অভিযোগ।
এক জনের মা বলেন, ‘‘ওই মেয়েটির আমাদের বাড়িতে আমার মেয়ের বান্ধবী হিসাবে আসা-যাওয়া ছিল। মেয়ে বলল কাজ পেয়েছে তাই বান্ধবীকে নিয়ে সেখানে যাচ্ছে। তার পর মোবাইলে দেখালাম ওরা বিয়ে করেছে। লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যাচ্ছে।’’ একই মত মেয়েটির বাবারও। তিনি চান আলাদা থাকুক দু’জনে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেরই আগে অন্য দুই পুরুষের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। এক জনের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পরিবারের চাপের মুখে সম্পর্ক ভেঙে দিতে রাজি নন তাঁরা। ওঁরা এক সঙ্গেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন।