প্রয়াত রবিনের মৃত্যু দিবসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন তপনের। নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত নেতা রবিন মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উন্মোচন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চলে এল হুগলি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। ঘটনায় নাম উঠে এসেছে জেলা তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী বিধায়ক অসিত মজুমদার এবং তপন দাশগুপ্তের।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিতের উদ্যোগে কেওটা ত্রিকোণ পার্কে শনিবার বিকেলে প্রয়াত নেতার আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন হবে। আমন্ত্রিতদের জন্য ছাপানো কার্ডে নাম রয়েছে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, হুমায়ুন কবির, বেচারাম মান্না, রত্না দে নাগ-সহ নেতাদের নাম। কিন্তু ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ অনুপস্থিত তপন। এমনকি, প্রয়াত রবিনের স্ত্রী সুমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ওই কর্মসূচিতে।
তপন এক সময় রবিনের সঙ্গে দল করেছেন। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন এখন চুঁচুড়া লাগোয়া সপ্তগ্রাম কেন্দ্রের বিধায়ক। তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূলের একাংশ।
চুঁচুড়া ঘড়ির মোরে রবিনের তৈরি করা তৃণমূলের একটি দফতর রয়েছে। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু দিবসে সেই দফতরেই প্রয়াত ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তপন। তিনি বলেন, ‘‘রবীনদা আর আমি এক সঙ্গে দল করেছি। অনেক সময় মতের অমিল হয়েছে। তবে দু’জনে এক সঙ্গে হুগলি জেলায় আন্দোলন করেছি। আজ তাঁর মৃত্যু দিন। খুব দুঃখের সঙ্গে দিনটি স্মরণ করছি আমরা।’’
অসিতের কর্মসূচি সম্পর্কে তপন বলেন, ‘‘রবিনদার মূর্তি উন্মোচন হবে বলে আমার কাছে কোনও খবর নেই। খবর পেলে নিশ্চই যেতাম।’’ এ বিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কার্ডে কার কার নাম আছে তা দেখে বলতে হবে। আমরা অনেককেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আর এটা তো শনিপুজা। রবিনদাকে যাঁরা ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন, তাঁরা আসবেন।’’
মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে রবিনের স্ত্রী সুমাকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে অসিত বলেন, ‘‘তিনি (সুমা) তো বিজেপি করেন। এটা তৃণমূলের অনুষ্ঠান। আমরা বিজেপি-র কাউকে বলিনি। তিনি যদি মনে করেন, তৃণমূলে ফিরবেন তাঁকে স্বাগত।’’ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন সুমা।