—ফাইল চিত্র।
গঙ্গায় সাঁতার শিখতে এসে ডুবে মৃত্যু হল দুই কিশোরের। সোমবার বিকেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর বাঁধাঘাটে। মৃতদের নাম মতিউর রহমান খান (১৭) ও আলি বক্স (১৭)। দু’জনেরই বাড়ি হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, যখন ঘটনাটি ঘটে, গঙ্গায় সেই সময়ে ভাটা চলছিল। সম্ভবত ভাটার টানে দুই কিশোর ভেসে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বিকেলে সাত-আট জন বন্ধুর সঙ্গে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে সাঁতার শিখতে এসেছিল মতিউর এবং আলি। গঙ্গায় তখন ভাটার টান ছিল। সাঁতার শিখতে শিখতে দু’জনেই পাড় থেকে অনেক দূরে চলে যায়। হঠাৎই অন্য বন্ধুরা দেখে, মতিউর এবং আলি ভেসে যাচ্ছে। তারা চিৎকার করতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক জন গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে ওই দুই কিশোরের কাছে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই দু’জনে তলিয়ে যায়।
ঘটনাটি দেখে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। ছুটে আসেন হাওড়া থানার অফিসারেরা। খবর দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। কিন্তু ওই দফতরের সাঁতারুদের ভরসায় না থেকে পুলিশ গঙ্গার ঘাটে থাকা স্থানীয় যুবকদের অনুরোধ করে উদ্ধারকাজে নামায়। পুলিশ জানায়, এক ঘণ্টার চেষ্টায় দেহ দু’টি দেহ উদ্ধার করেন ওই যুবকেরা। পাড় থেকে প্রায় ২০ ফুট দূরে মেলে মতিউর ও আলির দেহ। হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শহরে প্রশিক্ষিত সরকারি ডুবুরি না থাকায় সমস্যা হয়। তাই গঙ্গার ঘাটে যে যুবকেরা পুজোর বিসর্জন বা অন্য সময়ে কাজ করেন, গঙ্গায় কেউ ডুবে গেলে উদ্ধারকাজে তাঁদেরই সাহায্য নিতে হয়। ওঁরা না থাকলে ওই কিশোরদের দেহ উদ্ধার করা যেত না।’’