ডোমজুড়ের পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন এলাকার বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত প্রধানকে বার বার বলা সত্ত্বেও ভাঙা রাস্তার সংস্কার হচ্ছে না। পানীয় জলেরও যথাযথ ব্যবস্থা নেই। ভাঙা রাস্তা এবং পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ডোমজুড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ। সোমবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শামিল হলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অফিসের শাটারও বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও প্রতিবাদীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডোমজুড় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে যথাযথ পরিষেবা পান না তাঁরা। এলাকায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। পানীয় জলও ঠিকঠাক পাওয়া যায় না। এ নিয়ে বার বার পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হলেও তিনি আমল দেন না। ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তড়িৎ দেবও কাজ করেন না বলে অভিযোগ।
সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ডোমজুড়ের পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন এলাকার বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত অফিসের শাটার ফেলে দিয়ে বিক্ষোভও দেখান। পাশাপাশি, অনেকেই ওই শাটারে লাথি মারতে থাকেন। এতে এলাকার বহু মহিলাও শামিল হন। ক্ষুব্দ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানকে বার বার বলা সত্ত্বেও এলাকার রাস্তাঘাট সারানো হচ্ছে না। পানীয় জলের জন্য কোনও ব্যবস্থা করছেন না তিনি। পাশাপাশি করোনার টিকাকরণ নিয়েও পঞ্চায়েত থেকে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এরই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীদের একাংশ।
সোমবারের বিক্ষোভের জেরে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষীনারায়ণ দাস এবং উপপ্রধান তড়িৎ দেব, দু’জনেই প্রায় দেড় ঘণ্টা পঞ্চায়েত অফিসে আটকে পড়েন। ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ডোমজুড় থানার পুলিশ।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষীনারায়ণের দাবি, “এলাকাবাসীরা টিকাকরণের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকায় ৩২ হাজার বাসিন্দার জন্য মাত্র ২০০ টিকা এসে পৌঁছেছে।” যদিও খারাপ রাস্তা বা পানীয় জল নিয়ে বিক্ষোভের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।