সিঙ্গুরে শিল্প নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিলীপের। — নিজস্ব চিত্র।
তাঁর সঙ্গে কোনও তৃণমূল নেতার যোগাযোগ নেই। দলবদল নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি উড়িয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার হুগলির সিঙ্গুর থেকে শিল্প নিয়ে তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দিলেন তিনি।
দু’দিন আগে হুগলিরই চুঁচুড়ায় প্রাক্ দুর্গাপুজো সম্মেলনে এসে মিঠুন চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন তৃণমূলের অধিকাংশ বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। মিঠুন বলেন, ‘‘তৃণমূলের সবাই চোর নন। সবাই পচা আলু নন। ভালদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।’’ তাঁর দাবি, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবুজ সংকেত দিলে তিনি তৃণমূল ‘বিক্ষুব্ধ’দের পুরো নাম জমা দেবেন। সিঙ্গুরে এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি দল বদল করতে চায় এমন কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখি না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যাঁরা যোগাযোগ রাখছেন, তাঁরা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।’’
ন্যানো কারখানার জমিতে দাঁড়িয়ে ফেসবুক লাইভ করেন দিলীপ। সেখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দেন। আবার শিল্প নিয়েও বিঁধেছেন। বলেন, ‘‘সিঙ্গুরে শিল্প নেই, কৃষি নেই। রয়েছে শুধু কাশফুল।’’ তার পর তাঁর সংযোজন, ‘‘এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য উদ্ধৃত করে দিলীপ বলেন, ‘‘এই দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আমাদের আদালতের ওপর ভরসা আছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতারিত হয়েছে। কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে। দুর্নীতির শিকড়-বাকড় উপড়ে ফেলা দরকার। আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে ইডির তদন্তের উপর আমাদের ভরসা আছে।’’
দিলীপের মন্তব্য নিয়ে সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার টিপ্পনী, ‘‘দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের মধ্যে লড়াই চলছে সংবাদমাধ্যমে জায়গা পাওয়ার জন্য। তাই মাঝেমধ্যেই সিঙ্গুরে চলে আসেন ওঁরা।’’