জখম দীপিকা। —নিজস্ব চিত্র।
টোটোর দৌরাত্ম্য অব্যাহত চুঁচুড়া শহরে। দুর্ঘটনা ঘটে আকছার। এ বার এক নাচের শিক্ষিকার ডান হাতের অনামিকার একাংশ বাদ গেল টোটোর ধাক্কায়। মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রথতলার বিবেকানন্দ স্কুলের কাছে।
ঘটনা জেরে প্রতিক্রিয়া হয়েছে হুগলির সদর শহরে। লাগামহীন টোটোতে রাশ টানার দাবি তুলছেন শহরবাসী। যদিও এই দাবি নতুন নয়। এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। টোটো নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে আলোচনায় বসব। ওই দিন থেকেই দৌরাত্ম্য কমবে।’’
দীপিকা দাস নামে বছর তিরিশের ওই নৃত্যশিল্পী থাকেন চুঁচুড়ার মহেশতলায়। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে বিবেকানন্দ স্কুলে প্রাক্তনীদের নাটকের মহলায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, স্কুলের কাছেই উল্টো দিক থেকে একটি টোটো স্কুটির হ্যান্ডেলে সজোরে ধাক্কা মারে। তিনি পড়ে যান। সম্বিত ফিরে দেখেন, টোটো চম্পট দিয়েছে। পরে স্কুলে গিয়ে দেখেন, ডান হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে। অনামিকার একাংশ নেই। তড়িঘড়ি তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করা হয়। সংক্রমণ এড়াতে ওই আঙুলের আরও কিছুটা অংশ বাদ দিতে হয়।
বুধবার ঘরে শুয়ে দীপিকা বলেন, ‘‘চাই না কেউ বেকার হয়ে যাক। কিন্তু সত্যিই টোটো নিয়ন্ত্রণের দরকার আছে। না হলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।’’ অবিলম্বে টোটোর সংখ্যা কমানোর দাবি জানান তাঁর স্বামী সুদীপও। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে চলতে থাকলে টোটোর জন্য রাস্তায় বেরোনোর উপায়ই তো থাকবে না!’’ সব রাস্তায় চলতে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবারই হুগলির জেলাশাসক এবং চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেয় টোটো চালকদের সংগঠন। সেই রাতেই বেপরোয়া টোটোর ধাক্কায় মহিলার আঙুল খোয়ানোর অভিযোগ উঠল।