চলছে অবরোধ। ছবি: তাপস ঘোষ
হাওড়া-ব্যান্ডেল ও বর্ধমান মেন শাখায় বিভিন্ন লোকাল ট্রেন দেরিতে চলায় বা বাতিল হওয়ায় জেরবার নিত্যযাত্রীরা। তার জেরে কোভিড পরিস্থিতিতে গাদাগাদি করে যাতায়াতে যাত্রীরা বাধ্য হচ্ছেন। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ দুপুরে কম সংখ্যায় ট্রেন চালাচ্ছেন।
করোনার প্রভাব কম থাকায় মাস কয়েক আগে ট্রেন চলাচল শুরু হয় পুরোদমে। কিন্তু সকাল এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময় ছাড়া দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ট্রেন কম থাকায় নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অলীক বসুর অভিযোগ, ‘‘দিন কয়েক আগে ব্যাঙ্কের জরুরি একটি কাজে রিষড়ায় যাওয়ার জন্য দুপুরে উত্তরপাড়া স্টেশনে যাই। সেই সময় গ্যালপিং বর্ধমান এবং কাটোয়া লোকাল উত্তরপাড়ায় থামে না। তার উপরে একটা আপ ব্যান্ডেল লোকাল বাতিল করে দেওয়া হয়। তার পরে যে ট্রেনটি এল, ঠাসাঠাসি ভিড়ে তাতে উঠতে পারলাম না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘উত্তরপাড়া থেকে রিষড়া মাত্র তিনটে স্টেশন। সব মিলিয়ে বাড়ি থেকে রিষড়ায় পৌঁছতে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় লাগল। আমি নিশ্চিত, দুপুরে কম ট্রেন চালানো হচ্ছে।’’
রিষড়ার লক্ষ্মীপল্লির বাসিন্দা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশেষত একটু দূরবর্তী জায়গায় যাওয়ার ট্রেনগুলো যেমন বর্ধমান, মেমারি, ডাউন বালি-ব্যান্ডেল লোকাল লোকাল প্রায়ই বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। করোনা সংক্রমণ কমলেও নির্মূল হয়নি। যে কোনও সময় বাড়তে পারে। চিকিৎসকেরা তেমনটাই বলছেন। কিন্তু ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দিলে তো বাড়তি ভিড় হবেই। তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও বাড়বে।’’ মঙ্গলবার ডাউন বর্ধমান-শিয়ালদহ ট্রেনটি বাতিল হওয়ায় হাওড়া মেন শাখার আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনে একটি ইজ্ঞিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রেরা বিকেলে বাড়িতে ফিরতে সমস্যায় পড়েন।
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘ট্রেন গ্যালপিং মানে রেলের পরিভাষায় ট্রেন নেই, তা নয়। নির্দিষ্ট সেই স্টেশনে ট্রেনটি থামবে না। কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনও ট্রেন বাতিল হলে তা তো রোজ হচ্ছে না। দুপুরের দিকে লোকাল ট্রেন কম চালানো হচ্ছে কি না, খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’’
সব মিলিয়ে, ট্রেনযাত্রীদের দুর্ভোগ কমার নিশ্চয়তা সে ভাবে এখনই নেই।