সমবায় সমিতিতে জয়ী হওয়ার পর বামেদের উল্লাস। নিজস্ব চিত্র
প্রায় সাত বছর পরে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাওড়ার সাঁকরাইলের শ্যামাপ্রসন্ন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সদস্য-প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬৪টি আসনের সব ক’টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা। জয়ীদের মঙ্গলবার শংসাপত্র দেওয়া হয়। ভোটে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোটের কথা তারা জানতই না!
সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের দাবি, ‘‘তৃণমূলকে অন্ধকারে রেখে কোনও নোটিস না দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে ওই সমবায়ে। এ ব্যাপারে দলের তরফে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
ভোট পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকার নিযুক্ত অন্যতম অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটানিং অফিসার বিশ্বজিৎ সাহা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তিনি জানান, নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ১ অগস্ট। মনোনয়নপত্র বিলি হয় ৩-৫ অগস্ট। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ ছিল ৮ এবং ১০ অগস্ট। ভোট হওয়ার কথা ছিল ৪ সেপ্টেম্বর। শুধুমাত্র বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরাই সব আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তাই তাঁদেরই প্রতিনিধি-সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জয়ী প্রার্থীরা শংসাপত্র পাওয়ার পরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন বাম কর্মী-সমর্থেকরা। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর এই সমবায়ে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল। তখনও জিতেছিল বামেরাই। পাঁচ বছর অন্তর ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু সমবায়টির পরিচালন সমিতির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরে রাজ্য সরকার প্রশাসক নিয়োগ করেছিল। সমবায়টির মোট সদস্যসংখ্যা ১৫৯৯। নিয়ম অনুযায়ী ৬৪ জন প্রতিনিধি সদস্য হন।
জয় প্রসঙ্গে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘গণতন্ত্রকে খর্ব করতেই এতদিন এখানে ভোট করায়নি তৃণমূল সরকার। তাদের নীতি সমবায়-বিরোধী। বারবার বিভিন্ন দফতরে নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও লাভ হয়নি। শেষে সমবায়ের এক সদস্য আদালতের দ্বারস্থ হন। তার পরেই নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হয় সরকার। মানুষ তৃণমূলকে বুঝতে পেরেছেন।’’