TMC

Hooghly: তৃণমূল নেতা খুনে দলের আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ, ফাঁসির দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ

২০১৮ সালে হুগলির ধনিয়াখালির কুমরুলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২২ ১৬:৪৩
Share:

পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান খুনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেলেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন প্রধান-সহ আট জন। অন্য দিকে, এই সাজা ঘোষণার পর আদালতের সামনে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন দলেরই একাংশ। অন্য দিকে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে প্রাক্তন প্রধানের পরিবার।

Advertisement

২০১৮ সালে হুগলির ধনিয়াখালির কুমরুলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন সাঁতরা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। মূলত পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে দুই নেতার গন্ডগোল শুরু হয়। তার পরেই এই খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মৃত উপপ্রধানের স্ত্রী শিপ্রা বেরা ১৩ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত চিত্তরঞ্জনকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার হন সুরজিৎ সাঁতরা, বিশ্বজিৎ সাঁতরা ও বিশ্বজিৎ ঘোষ। হাওড়ার উলুবেড়িয়া থেকে গ্রেফতার হন অরূপ সিংহ, বিদ্যুৎ রায়, দীপু বাউড়ি, কাজি মহম্মদ বাদশা। আরও পাঁচ অভিযুক্ত এখনও অধরা রয়েছেন।

শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কাজি আবুল হাসেম, ফার্স্ট ট্রাক আদালতে অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করে অভিযুক্তদের। ছ’জন হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। দু’জন জেল হেফাজতে ছিলেন। ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।

Advertisement

অন্য দিকে, দোষীদের পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বিক্ষোভ শুরু করেন মৃত্যুঞ্জয়ের অনুগামীরা। মৃত নেতার ছবি নিয়ে দোষীদের ফাঁসির দাবি করেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement