—নিজস্ব চিত্র।
এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সাড়ে ৪ কোটি টাকা খরচ করে ১০০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলল চাঁপদানি পুরসভা। ১ জুলাই চিকিৎসক দিবসে চাঁপদানির বাসিন্দাদের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দেওয়া হবে ‘স্পর্শ’ নামের এই হাসপাতাল। কোভিড আক্রান্তদের পাশাপাশি এই হাসপাতালে অন্যান্য রোগীকেও পরিষেবা দেওয়া হবে। চাঁপদানি পুরসভার পুরপ্রশাসক সুরেশ মিশ্রর দাবি, হুগলি জেলায় এ ধরনের আধুনিক মানের হাসপাতাল দ্বিতীয়টি নেই।
পুরসভা সূত্রে খবর, পিপিপি মডেলে তৈরি ‘স্পর্শ’-তে সিটি স্ক্যান, ডায়ালিসিস থেকে উন্নত মানের প্যাথোলজির ব্যবস্থার ছাড়াও থাকছে ২৪ ঘণ্টার এক্স-রে পরিষেবা। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৩০ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। সুরেশ বলেন, ‘‘কোভিড রোগীদের জন্য হাসপাতালে ২৫টি আইসিইউ-এর মধ্যে আপাতত ১৪টি শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে। আরটি-পিসিআর-এর মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা কোভিড পরীক্ষার পরিষেবা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডধারীদের জন্য ৫০টি শয্যা থাকবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওপিডি-তে মাত্র ২০ টাকার টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানো যাবে। এর পর পরীক্ষা বা চিকিৎসার জন্য বাইরের যে কোনও হাসপাতালের থেকে এখানে ৩০ শতাংশ খরচ কম হবে।’’
১ জুলাই চিকিৎসক দিবসে আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দেওয়া হবে এই হাসপাতাল। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চাঁপদানি পুরসভায় ২০ শয্যার মাতৃসদন হাসপাতাল থাকলেও তা প্রায় বন্ধের মুখে। পুর এলাকায় গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতাল থাকলেও তার চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ফলে এলাকায় যথাযথ মানের একটি হাসপাতালের দাবি ছিলই। অতিমারির সময়ে এই পরিষেবা খুবই কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। সুরেশ বলেন, ‘‘নার্সিংয়ে প্রশিক্ষিত এলাকার মেয়েদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান হিসাবেও কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের।’’ এ ছাড়া, পুরসভার পাশেই এই হাসপাতাল হওয়ায় ‘মা’ ক্যান্টিনের মাধ্যমে ৫ টাকায় ডিম-ভাতেরও ব্যবস্থা থাকবে রোগীর পরিজনদের জন্য।