বিক্ষোবে ফেটে পড়লেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষেরা।
টিকা নিতে গেলে লাগবে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষর, না হলে পাওয়া যাবে না টিকা। এমনই পোস্টার পড়ায় বিক্ষোবে ফেটে পড়লেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষেরা। সোমবার পাঁচলার পানিয়াড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পোস্টার ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে।। জানা গিয়েছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, এই খবর পেয়ে ভোর থেকেই সেখানে উপস্থিত হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন একটি নোটিস টাঙিয়ে জানানো হয়েছে যে এলাকার প্রধানের স্বাক্ষর ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না। পরে স্বাস্থ্যকর্মীদের এই কথা জানালেও তাঁরা একই উত্তর দেন।।
তারপরই বিক্ষোভ শুরু করে হয়। সাধারণ মানুষের দাবি, এই নির্দেশিকা অনৈতিক। বেছে বেছে তৃণমূলের লোকজনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উত্তেজনা বাড়লে পাঁচলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখা শুরু করে উপস্থিত জনতা। পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটলে শুরু হয় টিকা দেওয়া।
ঘটনার প্রেক্ষিতে লডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য সুখী রায় অভিযোগ করেন, টিকা দেওয়ার কাজেও রাজনীতির রং দেখা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে যাঁদের কুপন দেওয়া হয়েছে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। উপপ্রধান শেখ মইদুল বলেন, তিনি এব্যাপারে কিছু জানেন না। পাঁচলা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক জানান,এ সব বিরোধীদের অপপ্রচার। টিকা সবাইকে দেওয়া হচ্ছে।