Contractors

বকেয়া সাড়ে ৯ কোটি, ভোটের কাজে আপত্তি ঠিকাদারদের

ওই সংস্থা এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য পুলিশের থাকার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার কাজ বাবদ হুগলি জেলা পরিষদ ২ কোটি টাকার দরপত্র ডেকেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৯
Share:

বকেয়া পাওনার দাবিতে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভা ভোট মিটেছে প্রায় আড়াই বছর। পঞ্চায়েত ভোট ছ’মাস গড়িয়ে গিয়েছে। ওই দুই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য হুগলির বিভিন্ন স্কুল কলেজে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করেছিলেন ১৬ জন ঠিকাদার। সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য পুলিশের থাকার জন্যও ওই ব্যবস্থা করতে হয়েছিল তাঁদের। ওই কাজে তাঁদের পাওনা সাড়ে ৯ কোটি টাকা। কিন্তু তার একটি টাকাও মেলেনি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বকেয়া না পেলে আগামী লোকসভা ভোটে কোনও কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দিলেন ওই ঠিকাদারেরা। অবিলম্বে বকেয়া মেটানোর দাবিতে মঙ্গলবার পূর্ত দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (হুগলি বিভাগ) দেবপ্রসাদ সামন্তকে স্মারকলিপিও দেয় ঠিকাদার সংগঠন ‘ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব হুগলি ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টর্স’। সংগঠনের সম্পাদক লিটন দাস
বলেন, ‘‘দেনার দায়ে আমাদের মাথাখারাপ হওয়ার জোগাড়। বকেয়া না পেলে লোকসভা ভোটে কাজ করতে পারব না।’’

Advertisement

ওই সংস্থা এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য পুলিশের থাকার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার কাজ বাবদ হুগলি জেলা পরিষদ ২ কোটি টাকার দরপত্র ডেকেছিল। বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য ওই ব্যবস্থার জন্য প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার দরপত্র ডেকেছিল পূর্ত দফতর।

ঠিকাদারদের সমস্যার কথা মানছেন প্রশাসনের কর্তারাও। দেবপ্রসাদ বলেন, ‘‘ঠিকাদারদের দাবি আগেও একাধিক বার সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি। প্রতি বারই টাকা দেওয়া হবে জানালেও দিন-তারিখ বলা হয়নি। আমার হাত-পা বাঁধা। এখন ঠিকাদারেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আমার কিছু করার নেই।’’ সব শুনে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা বলেন, ‘‘কয়েক মাস হল এই পদে বসেছি। পুরো বিষয়টি দেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওঁদের টাকা মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’

Advertisement

বিধানসভা ভোট হয়েছিল ২০২১ সালে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সে সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য জেলার প্রায় ৪০০টি স্কুল-কলেজে আলো, পাখা, জেনারেটরের ব্যবস্থা হয়। প্রায় ৭ কোটির বরাত ছিল পূর্ত দফতরের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রায় ১০০টি স্কুল-কলেজে ওই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য ও ভিন্‌ রাজ্যের পুলিশের
থাকার ব্যবস্থা হয়। এ ক্ষেত্রে জেলা পরিষদের ২ কোটি এবং পূর্ত দফতর থেকে বরাত ছিল ৫০ লক্ষ টাকার। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে একই কাজ করে প্রায় আড়াই বছর পরে (গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে) ঠিকাদারেরা টাকা পেয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement