রঘুনাথ মাঝি। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় তিন দশক পর আরামবাগ মহকুমায় কংগ্রেসেরও একটি পঞ্চায়েত আসন জুটেছে। কোনও রকম প্রচার না করেই আরামবাগের মাধবপুর পঞ্চায়েতের সেলালপুর ১৬১ নম্বর বুথ থেকে বছর তিপান্নর রঘুনাথ মাঝি নামে এক দিনমজুর হাত চিহ্নে জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে।
নিজেকে আদি কংগ্রেসি দাবি করে রঘুনাথ বলেন, “কোনও দিন, কোনও দলের প্রার্থী হওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। কয়েকজন গ্রামবাসী উৎসাহ দিয়েছিলেন। প্রচার না করেই তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেও গেলাম।”
দলের নেতারাও অবাক। বুধবার দলীয় প্রার্থীর জয়ের খবর জানতে পেরে তাঁর বাড়ি খুঁজে পৌঁছে যান জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আরামবাগের শেখ মিরাজুল ইসলাম-সহ কয়েক জন। মিরাজুল বলেন, “কংগ্রেস দলটির শিকড় যে কত গভীরে, এটা তারই প্রমাণ।” একই কথা বলেন রাজীব গান্ধী পঞ্চায়েতরাজ সংগঠনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ পাল। দলের প্রবীণ নেতা প্রভাত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শেষবার ১৯৮৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জয়ের পর পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করেছিলাম আমরা। পরের দফায় জনা চারেক প্রার্থী জিতেছিলেন। তারপর থেকে বাম এবং তৃণমূল আমলে প্রার্থীই দিতে পারিনি।’’
গ্রামোন্নয়নে কী কী কাজ করবেন, তা-ও ভেবে রেখেছেন রঘুনাথ। তিনি জানান, গ্রাম থেকে পাকা রাস্তায় ওঠার সংযোগকারী রাস্তাটি পাকা করা, আর গ্রামে জল নিকাশির ব্যবস্থা করাই সবার আগে প্রয়োজন। এরপর আরও উন্নয়নের ক্ষেত্র বাছা হবে। বিমল মাজি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসাবে একজন ভাল মানুষের দরকার ছিল। তাই সবাই মিলে রঘুনাথকে নির্বাচন করেছি।”