জ্বলছে স্কুটি। নিজস্ব চিত্র।
জোরে মোটরবাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় কোন্নগরের মাস্টারপাড়ায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল অন্য পাড়ার ছেলেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, একাধিক জনের মাথা ফাটে, মহিলাদের গায়েও হাত তোলা হয়। বুধবার রাতের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে। উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটে দলের জয়ের আনন্দে বুধবার রাতে কোন্নগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়ার একটি ক্লাবে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই তৃণমূল কর্মী খাওয়ার জন্য পাতা আনতে গেলে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় দুই যুবকের বচসা হয় জোরে বাইক চালানো নিয়ে। অভিযোগ, সেই যুবকেরা দলবল জুটিয়ে এনে ওই তৃণমূল কর্মীদের উপরে চড়াও হয়। পাইপগানের বাঁট দিয়ে একজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিরোধে ঘর থেকে মহিলারা বেরিয়ে এলে মারধর থেকে রেহাই পাননি তাঁরাও। এক কিশোরীকেও মারধর করা হয়। একটি স্কুটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, আহতেরা উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গেলে হামলাকারীরা সেখানে পুলিশের সামনেই থানায় না যাওয়ার জন্য তাঁদের শাসায়। তৃণমূলের একাংশের দাবি, হামলাকারীদের পিছনে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর মদত রয়েছে। প্রশ্ন পুলিশের ভূমিকাতেও। স্থানীয় তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি (কাউন্সিলর) বিশ্বরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী আর বলব! হাসপাতালে পুলিশের সামনেই প্রহৃতদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হল তাঁরা যাতে থানায় না যান। তবে এর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। দুষ্কৃতীরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারে না।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোতরং এলাকার পরিচিত দুষ্কৃতী অটোর দলবল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দননগর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে কি না, পুলিশ দেখছে।’’