Fake QR Code

নকল কিউআর কোডে বাজি বিক্রি, নালিশ

সংস্থার সম্পাদক জয়ন্তকুমার পাঁজার দাবি, শুক্রবার মাহেশে একটি দোকানে তাঁরা বাজি পরীক্ষা করেন।

Advertisement

প্রকাশ পাল

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:১১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মানছে ক’জন! নিয়ম বলছে, বাজির মোড়কে নির্দিষ্ট সংস্থার ‘কিউআর কোড’ থাকতে হবে। কোড স্ক্যান করলে ওই বাজির বিস্তারিত তথ্য মিলবে। নিয়ম-মানা এই বাজি বাজারে মিলছে নামমাত্র। এর মধ্যেই আবার নকল কিউআর কোড লাগিয়ে বাজি বিক্রির অভিযোগ উঠল হুগলিতে। কোন্নগরের যুক্তিমন কলা ও বিজ্ঞান কেন্দ্রের সদস্যদের দাবি, তাঁরা নবগ্রাম, কানাইপুর, শ্রীরামপুরে রাস্তার ধারে বাজির বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানে ঘুরে নকল কিউআর কোডে বাজি বিক্রি হতে দেখেছেন।

Advertisement

পুলিশের একাংশও এই প্রবণতার কথা মানছে। কোথায় সমস্যা? যুক্তিমনের সদস্যেরা জানান, সবুজ বাজির ক্ষেত্রে নিরি (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট) ও সিএসআইআর (কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইনডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ)-এর স্বীকৃতি বাধ্যতামূলক। ওই সংস্থার অ্যাপে বাজির মোড়কে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট বাজি কবে, কোন সংস্থার তৈরি, কত দিন ব্যবহার করা যাবে, সব তথ্যই মিলবে মোবাইলে। কিন্তু এমন বাজি কার্যত অমিল।

সংস্থার সম্পাদক জয়ন্তকুমার পাঁজার দাবি, শুক্রবার মাহেশে একটি দোকানে তাঁরা বাজি পরীক্ষা করেন। সেখানে প্রায় ২০ ধরনের বাজির অনেকগুলির মোড়কেই নানা সংস্থার কিউআর কোড ছিল। মাত্র দু’তিন ধরনের মোড়কে ছিল নিরি-সিএসআইআরের কিউআর কোড। স্ক্যান করে দেখা যায়, সেগুলি বৈধ। অন্যগুলির ক্ষেত্রে উল্টো। জয়ন্তের দাবি, ‘‘নিরি-সিএসআইআরের অ্যাপে অন্য সংস্থার কিউআর কোড স্ক্যান করলে মোবাইলে লেখা এসেছে, ইনভ্যালিড কিউআর। অর্থাৎ, অবৈধ।

Advertisement

নকল কিউআর কোড লাগানো হয়েছে, এতেই স্পষ্ট।’’ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশাসনকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন জয়ন্ত। তাঁর খেদ, সবুজ বাজি নিয়ে প্রচারটুকুও করেনি প্রশাসন। নকল বাজি ধরপাকড়ও কেন সে ভাবে হল না, এ প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। চন্দননগর পরিবেশ অ্যাকাডেমির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নকল কিউআর কোড লাগিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, চন্দননগর থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছি। কিউআর কোডহীন বাজির তো ছড়াছড়ি!’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিকের বক্তব্য, বিষয়টি ধরার জন্য ‘রেগুলেটিং অথরিটি’ (নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ) ঠিক করা দরকার ছিল। তা না হওয়ায়, ফাঁক থেকে গিয়েছে।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। তবে নিষিদ্ধ বাজি রুখতে অভিযান চালানো হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। নাগরিক সংগঠন অল বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরামের সভাপতি শৈলেন পর্বতের ক্ষোভ, ‘‘সবুজ বাজি তো সোনার পাথরবাটি!’’ বাজি ও ডিজে বক্সবিরোধী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক গৌতম সরকারের প্রশ্ন, ‘‘বাজি ছাড়া আর কোন পণ্য কিউআর কোড স্ক্যান করে কিনতে হয়? বাজির ক্ষেত্রে জটিলতা কেন?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement