হুগলির চন্ডীতলার গরলগাছায় ছাত্র যুব উৎসবের জন্য তৈরী তোরণ এবং প্রচার গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলিতে ছাত্র-যুব উৎসবের জন্য প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি, প্রচার কার্যত সারা হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহীরা নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। রাজ্যের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের নির্দেশিকায় জেলাস্তরের ‘ছাত্র-যুব উৎসব’ বাতিল হওয়ায় তাঁরা হতাশ। রাজ্যের আচমকা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল পড়েছে প্রশাসনের অন্দরেও। এ ব্যাপারে জেলাশাসক মুক্তা আর্যের বক্তব্য, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে।’’
আগামী ১০ থেকে ১২ তারিখ চণ্ডীতলা ২ ব্লকের গরলগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই উৎসব হওয়ার কথা ছিল জেলা যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের আয়োজনে। জেলার ১৮টি ব্লকেই উৎসবের প্রচার চলে ডিসেম্বর মাসভর। চণ্ডীতলা বাজারে, গরলগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ে তোরণও লাগানো হয়েছিল। ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিযোগীরা উৎসবের বিভিন্ন বিষয়ে নাম দেন। সংশ্লিষ্ট পুরসভা এবং ব্লক কার্যালয়ে নাম নেওয়া হয়। নাম দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ২৯ ডিসেম্বর। প্রতিযোগিতার বিষয় হিসাবে ছিল রবীন্দ্রনৃত্য, লোকনৃত্য, ঢাক, আবৃত্তি, বিবেকানন্দ বিষয়ক ক্যুইজ়-সহ ২২টি বিভাগ। জেলায় জেলায় ওই উৎসব বাতিলের নির্দেশিকা আসে বুধবার। বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে’ এই সিদ্ধান্ত।
এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি হুগলি জেলার যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের আধিকারিকেরা। জেলা পরিষদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও তথ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই উৎসব শেষ বার হয়েছিল ২০২০ সালে। মাঝে করোনার জন্য বন্ধ ছিল। স্বাভাবিক কারণেই এ বার বাড়তি আগ্রহ ছিল। তবে, সরকারি সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়াই আমাদের কর্তব্য।’’
হাওড়া জেলা যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘উৎসবের প্রাথমিক প্রস্তুতি চালানো হচ্ছিল। উৎসব বাতিল হয়ে যাওয়ায় সব প্রস্তুতি বাতিল করা হয়েছে।’’