Khanakul

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নেতার বাড়িতে হামলা

হারাধনের দাবি, তিনি পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ বরের গোষ্ঠীতে থাকায় দলের ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর লোকেরা হামলা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৮
Share:

তৃণমূের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোট সামনে। খানাকুলের কিশোরপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এখনও ইতি পড়ল না। এ বার বন্দিপুরে নদী-সেচ প্রকল্প (আরএলআই) পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরকে কেন্দ্র করেও সেই দ্বন্দ্ব সামনে এল। রবিবার রাতে এক গোষ্ঠীর নেতা হারাধন প্রামাণিকের বাড়ি ভাঙচুর এবং বোমাবাজির অভিযোগ উঠল অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

হারাধনের দাবি, তিনি পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ বরের গোষ্ঠীতে থাকায় দলের ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর লোকেরা হামলা করেছে। ইলিয়াস গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা হামলার কথা মানেননি। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানায়, ছ’জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তশুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দিপুরের সরকারি নদী-সেচ প্রকল্পটি সাত বছর ধরে পরিচালনা করছিলেন তৃণমূল কর্মী রাজকুমার দিগের। তিনি ইলিয়াসের গোষ্ঠীর বলে পরিচিত। সেচের জমির শতকপিছু ২ টাকা করে তাঁর মজুরি ছিল। এখানে সেচের আওতায় থাকা মোট ৮০ বিঘা জমিই তিন থেকে চার ফসলি।

Advertisement

পঞ্চায়েত জানিয়েছে, পাইপের ফুটো সারানো-সহ নানা ক্ষেত্রে খরচ দেখিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ধার হয়েছে বলে হিসাব দিয়েছিলেন রাজকুমার। গত শুক্রবার পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে দায়িত্ব ছাড়তে বলা হয়। প্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে হারাধন নদী-সেচ প্রকল্পের দায়িত্ব দেন আর এক জনকে।

হারাধনের অভিযোগ, “রাজকুমারকে দায়িত্ব থেকে সরানোতেই বাড়িতে হামলা হল। রাত পৌনে একটা নাগাদ বোমাবাজি এবং বাড়ির জানলার কাচ ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙে। ছাদে উঠে দেখি রাজকুমার-সহ কয়েকজন পালাচ্ছে।” রাজকুমার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘হামলার সঙ্গে আমার যোগ নেই। আমরা ব্লক সভাপতির অনুগামী হওয়ায় প্রধানের নেতৃত্বে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সেচ প্রকল্পে ঋণ কিছু হয়েছে ঠিকই। সেটা মৌখিক ভাবে জল কমিটিকে জানিয়েছি। এখনও সাধারণ সভা হয়নি। সেই সভায় হিসাব পেশ না করা পর্যন্ত এ রকম অভিযোগ উঠবে কেন?”

ব্লক সভাপতি ইলিয়াসের দাবি, ‘দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। নিজেদের মধ্যে গোলমালে দলকে জড়ানো হচ্ছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ বরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা এড়িয়ে গিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement