হাওড়ার এই হোম ঘিরেই দানা বেঁধেছে রহস্য। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রথম দু’টি তলায় শিশুদের হোম এবং দফতর। তার উপরে উঠলেই ভিন্ন ছবি। কোনও তলায় সুসজ্জিত বেডরুম এবং ড্রইংরুম। কোনও তলায় আবার সাজানো-গোছানো ব্যাঙ্কোয়েট। হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানার শ্রীরাম ঢ্যাং রোডে শিশুদের জন্য তৈরি করা ওই চার তলা বেসরকারি হোম ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। কী কারণে ওই রকম বিলাসবহুল হোটেলের মতো জায়গা তৈরি করার প্রয়োজন হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সালকিয়ার শ্রীরাম ঢ্যাং রোডে করুণা ওয়েস্টবেঙ্গল চাইল্ড অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। বাড়ির প্রথম তলায় হোমের দফতর। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে শিশুদের রাখার জায়গা। কিন্তু তার উপরে গেলেই বদলে যাবে ছবিটা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটির তৃতীয় তলায় রয়েছে সুসজ্জিত ড্রইং রুম এবং দু’টি বেড রুম এবং ডাইনিং রুম। এর উপরে অর্থাৎ চার তলায় রয়েছে একটি মিনি ব্যাঙ্কোয়েট। সেখানে রয়েছে অত্যধুনিক সাউন্ড সিস্টেমও। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অনেক রাত অবধি ওই হোমে লোকজনের যাতায়াত ছিল। শিশুদের রাখার জন্য তৈরি করা একটি হোমে কেন এমন বিলাসবহুল ব্যাঙ্কোয়েট এবং থাকার জায়গা তৈরি করার প্রয়োজন হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই রহস্যের কিনারা করা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। ওই কাণ্ডে দেবকুমার ভট্টাচার্য নামে সমাজকল্যাণ দফতরের যে আধিকারিক ধরা পড়েছেন তাঁর টিআই প্যারেডও হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।