আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। — নিজস্ব চিত্র।
মহিলার সোনার হার ছিনতাই করে চম্পট দিয়েছিলেন দুই যুবক। অভিযোগ, সেই হার তাঁরা বিক্রি করে দিয়েছিলেন অন্য জেলার এক ব্যবসায়ীদের কাছে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ছিনতাইকারীদের কাছে খবর পেয়ে এ বার চোরাই হার কিনেছিলেন যে ব্যবসায়ী তাঁকেও ধরল পুলিশ।
চন্দননগর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে নাড়ুয়া বারো মন্দিরতলা এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পত্রলেখা বসু নামে ষাটোর্ধ্ব এক মহিলা গিয়েছিলেন মুদিখানার দোকানে। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে চড়ে এসে দুই দুষ্কৃতী তাঁর গলার সোনার হার ছিনতাই করে চম্পট দেয়। এর পর চন্দননগর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুই দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করে। পুলিশ উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর থেকে রাহুল এবং দীপক নামে দুই যুবককে গ্রেফতারও করে। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, নৈহাটির একটি সোনার দোকানে ছিনতাই করা সেই হার বিক্রি করেছিল দুষ্কৃতীরা। এর পর নৈহাটির সেই দোকানদার সন্তোষকুমার সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁর কাছ থেকে হার উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেরে চন্দননগর থানায় পৌছন নৈহাটির স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। উদয় প্রসাদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘পুলিশ ধরেছে জানতে পেরে আমরা এসেছি। কোনটা চোরাই জিনিস তা কেনার সময় বোঝা যায় না। কারণ, অনেকেই গয়না বিক্রি করতে আসেন। এ বার থেকে গয়না কেনার সময় আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’’ চন্দননগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার হার উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, যে ব্যবসায়ী ওই হার কিনেছিলেন তিনি জবানবন্দি দিতেও রাজি হয়েছেন।