হুগলির স্কুলে সিলিং ফ্যান খুলে গিয়ে দুর্ঘটনা। —নিজস্ব চিত্র।
ক্লাসের মধ্যে ছাত্রীদের মাথার উপর ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় আহত হয়েছে চার ছাত্রী। হুগলির পান্ডুয়া রাধারানি গার্লস হাই স্কুলের ঘটনা। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিছক দুর্ঘটনা এটি। অভিপ্রেত নয় কিন্তু, এতে কারও করণীয় কিছু নেই।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার স্কুলের টিফিনের সময় ক্লাসরুমে বসে টিফিন খাচ্ছিল ছাত্রীরা। তখন একটি সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে। তাতে চার ছাত্রী জখম হয়। তড়িঘড়ি তাদের পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় চার জনের। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দুই ছাত্রীর এক্স-রে-সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আহত এক ছাত্রীর বাবা রেজ্জাক মোল্লাও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েরা স্কুলের টিফিনের সময় ঘরে বসে টিফিন করছিল। হঠাৎ করেই মাথার উপর একটি পাখা ভেঙে পড়ে। স্কুলের দিদিমণিরা সবাই হাসপাতালে নিয়ে যায় আহত ছাত্রীদের। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই দুর্ঘটনা হল বলে আমাদের অনুমান।’’ অন্য দিকে, স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন আহত ছাত্রীদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ স্কুল বহন করবে।