নিজস্ব চিত্র।
সংসারের বিপুল খরচ জোগাতে না পেরেই স্ত্রী দেবযানী ও কন্যা সম্রাজ্ঞীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন বেলগাছিয়ার ব্যবসায়ী অভিজিৎ দাস। লিলুয়া-কাণ্ডে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এমন তথ্য।
দেবযানী ও সম্রাজ্ঞীর ময়নাতন্ত করে জানা গিয়েছে, ভারী জিনিস দিয়ে তাদের মাথায় আঘাত করেছিলেন অভিজিৎ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ব্যবসা ছিল তাঁর। লকডাউন কার্যত বন্ধ হয়ে যায় ওই ব্যবসা। অতিমারি পরিস্থিতিতে বহু জায়গায় অক্সিজেন সরবরাহ করলেও টাকা পাননি। অর্থকষ্টের জেরে বাজারে ধারও করতে হয়েছিল অভিজিৎ-কে। এমনকি স্ত্রীয়ের গয়নাও বন্ধক রেখেছিলেন তিনি।
ওই সময়েই কোভিডে আক্রান্ত হন অভিজিতের স্ত্রী। সেরে উঠলেও দেখা দেয় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। ওই সময়ে এক দিকে স্ত্রীয়ের চিকিৎসার বিপুল খরচ, অন্যদিকে বিছা়নায় শয্যাশায়ী নিজের অসুস্থ মা-ও। তাঁর চিকিৎসারও খরচ ছিল। মেয়ে সম্রাজ্ঞী ইংরাজি মাধ্যমে পড়াশোনা করত। এত খরচের ভার বহন করতে না পেরে শ্বশুরবাড়ির থেকেও টাকা নিতে হয়েছিল অভিজিৎ-কে। পুলিশ সূত্রের দাবি, সব মিলিয়ে আর্থিক অনটনের কারণেই বউ ও মেয়েকে খুন করে নিজে গলায় দড়ি দিয়েছেন তিনি।