প্রতীকী ছবি।
ঘরের দরজা ভেঙে এক যুবতী এবং তাঁর শিশুকন্যার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মহানাদে। মৃতদের নাম পিঙ্কি ওঁরাও (২৫) এবং ষষ্ঠী (৪)। পুলিশ মনে করছে, ওই দু’জনকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের নির্দিষ্ট ধারায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দেহ দু’টি ফুলে গিয়েছে। দু’জনের গলাতেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনে হচ্ছে অন্তত তিন দিন আগে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত, তা স্পষ্ট নয়। তদন্ত করে সব জানার চেষ্টা চলছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পূর্ব মহানাদের শীতলাপাড়ার ওই ঘর থেকে এ দিন দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। দরজা তালাবন্ধ ছিল। এলাকাবাসীর তরফে বিষয়টি পোলবা থানায় জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। দেখা যায়, মা-মেয়ের দেহ বিছানায় পড়ে। তদন্তকারীদের অনুমান, দু’জনকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। তবে, ঘর থেকে কোনও অস্ত্র পুলিশ পায়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, পিঙ্কির বাড়ি আদতে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। তবে, বেশ কয়েক বছর ধরে হুগলিতে থাকতেন। কখনও ইটভাটা, কখনও মহানাদের একটি বিয়ার কারখানায় কাজ করতেন। পিঙ্কির দিদি থাকেন পান্ডুয়ায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, বছর ছ’য়েক আগে এক যুবকের সঙ্গে পিঙ্কির বিয়ে হয়। মেয়ে হওয়ার পরে স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। বছর খানেক ধরে পিঙ্কি অন্য এক যুবকের সঙ্গে থাকতেন। মাস খানেক আগে তাঁরা শীতলাতলায় অ্যাসবেসটসের চালের ওই বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়ির মালিক সন্তোষ পাল এখানে থাকেন না। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি পোলবা থানায় আসেন। তিনি জানান, স্থানীয় এক জনের সূত্রে পিঙ্কিদের ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন। পিঙ্কি বা ওই যুবক প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিশতেন না। দিন কয়েক ধরে ওই যুবককে এলাকায় দেখা যায়নি। পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে।