নিজস্ব চিত্র
হুগলির শেওড়াফুলিতে কিশোরীর মৃত্যুরহস্য-কাণ্ডে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মূল অভিযুক্ত। কিশোরীকে খুনের অভিযোগে জড়িয়েছে আরও দু’জনের নাম। এমনটাই খবর পুলিশ সূত্র মারফত। রবিবার খড়পাড়ার বাসিন্দা বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। জিআরপির সঙ্গেও কথা বলার পর তিনিই জানান, মূল অভিযুক্ত ছাড়াও যে দু’জনের নাম জড়িয়েছে, তাঁদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে জিআরপি।
নবমী রাতে ঠাকুর দেখতে বেরোনোর পর থেকে নিখোঁজ ছিল কিশোরী। গত বুধবার শেওড়াফুলির ৩ ও ৪ নম্বর গেটের মাঝামাঝি রেললাইন থেকে তার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে জিআরপি। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে গলা টিপে খুন করে তাকে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে পুলিশি তদন্ত সম্পর্কে খোঁজখবর নেন প্রিয়ঙ্কা। এর পর জিআরপি থানায় গিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেন তিনি। থানা থেকে বেরিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন ছিলেন। তাঁদেরও খোঁজ চলছে। কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্তের সময় কোনও ভিডিয়োগ্রাফি হয়নি। রিপোর্ট এলেই সব পরিষ্কার হবে।’’
বুধবার কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পরেই অভিযুক্ত যুবককে পোস্টে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত। কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘ছেলেটা হাসপাতালে ভর্তি আছে এখন। সুস্থ হলে ওকে জিআরপি গ্রেফতার করবে বলে জানিয়েছে।’’
গোটা ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে মহিলা-শিশুরা সব থেকে সুরক্ষিত, তাঁরা উত্তর দিন, কেন এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে? শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা কেউই পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। আমরা এসেছি।’’ তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘‘বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে। আমরা সব সময়েই সাধারণ মানুষের পাশে আছি। থাকব।’’