ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন ঈশান। ছবি: টুইটার থেকে
ঈশান কিশনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল শতরান শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেই কাপ আর ঠোটের মাঝের দূরত্বটা রয়েই গেল। ৯৩ রানে শেষ ঈশানের ইনিংস। তাতে যদিও কোনও আফসোস নেই ঈশানের।
রাঁচী মানেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহর। কিন্তু ভারতের ম্যাচের সময় তিনি মাঠে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু সেই দুঃখ কিছুটা ভুলিয়ে দিলেন ঈশান। তাঁরও ঘরের মাঠ রাঁচী। সেই মাঠেই ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন তরুণ ব্যাটার। ম্যাচ শেষে ঈশান বলেন, “আমার দুর্ভাগ্য যে শতরান করতে পারিনি, কিন্তু আমি খুশি দল জেতায়। খুব সহজ ছিল না নতুন ব্যাটারের পক্ষে এই পিচে রান করা। আমার চেষ্টা ছিল চাপটা বিপক্ষ দলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ওরা একটা ভুল করলেই সেটাকে কাজে লাগাতে চাইছিলাম আমরা। বুকের কাছে বল উঠলেই পুল মারার চেষ্টা করছিলাম। প্রতি বার যদিও সফল হইনি।” পুল মারতে গিয়েই ক্যাচ দিয়ে বসেন ঈশান।
শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে ১৬১ রানের জুটি গড়েন ঈশান। দু’জনে মিলে শুরুতে উইকেট হারানোর চাপটা বুঝতেই দেননি। ৮৪ বলে ৯৩ রান করেন ঈশান। সাতটি ছক্কা এবং চারটি চার মারেন তিনি।
এক দিনের সিরিজ়ে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা নেই। এমন অবস্থায় সুযোগ পেয়ে কাজে লাগালেন ঈশান। এক দিনের ক্রিকেটে উইকেটরক্ষক হিসাবে জায়গা পান ঋষভ পন্থ। কিন্তু তরুণ ঈশান বুঝিয়ে দিলেন তিনিও পারেন ম্যাচ জেতাতে। তরুণ উইকেটরক্ষক চিন্তায় ফেলতে পারেন পন্থকে।