অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। নিজস্ব চিত্র
হুগলির মাটি ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁকে নিশানা করে ধেয়ে গেল চুঁচুড়ার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাক্যবাণ। সদ্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়া অভিষেকে ‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বজ্রাঘাতে নিহতদের পরিবারকে অভিষেকের আর্থিক সাহায্য করাকেও ‘নাটক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন লকেট। লকেটের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে জোড়াফুল শিবিরও।
বৃহস্পতিবার হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ায় গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন লকেট। ঘটনাচক্রে তার কিছু ক্ষণ আগেই হুগলির পোলবা-দাদপুর ব্লকের সাটিথান গ্রামে বজ্রপাতে মৃত কিরণ রায়ের পরিবারের সাথে দেখা করেন অভিষেক। অভিষেকের এই সফরকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন লকেট। হুগলির বিজেপি সাংসদের দাবি, বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের জন্য, ‘‘প্রথম আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদীজি। তার পরেই দেখতে পাচ্ছি তৃণমূল তাকে অনুসরণ করছে। আগে কোনও দিন কখনও দেখিনি যে বজ্রাঘাতে মৃত্যুতে সাহায্য করতে।’’ এই সূত্রেই অভিষেককে লক্ষ্য করে লকেটের তির, ‘‘অভিষেক কোনও আন্দোলন করেননি। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন। দলের প্রবীণদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উনি মাটি থেকে আন্দোলন করে উঠে আসেননি। অথচ বজ্রাঘাতে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন আকাশপথে। এটা নাটকের সূচনা চলছে। আগামী দিনে স্পষ্ট হবে উনি কী চান।’’
এক দিকে বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারকে রাজ্যের দেওয়া আর্থিক সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন। অন্য দিকে অভিষেককে নিশানা। লকেটের এই ‘দ্বিঘাত সমীকরণ’-এর কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব বলছেন, ‘‘না জানাটা অপরাধ নয়। তবে না জেনে জানার ভান করা বা মিথ্যা কথা বলা অপরাধ। লকেট চট্টোপাধ্যায় জানেন না এই ধরনের মৃত্যুতে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য বাংলায় প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারই চালু করেছে। সে সময় নরেন্দ্র মোদীর এ সব জানা ছিল না। মোদী রাজ্যের নানা প্রকল্পের অনুসরণ করেছেন। এটা লকেটের জানা নেই।’’
অভিষেককে আক্রমণ নিয়ে দিলীপের জবাব, ‘‘আমি এত দিন জানতাম, লকেট দিলীপ ঘোষকে অনুসরণ করতেন। এখন মনে হয় উনি শিবির বদলে শুভেন্দু অধিকারীদের দিকে গিয়েছেন। তাই আকাশপথে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করছেন। লকেটের এ সব বক্তব্যের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।’’